দেহের প্রয়োজনে মানুষ প্রেমে পড়ে যা একসময় মনেরও প্রয়োজন সাধন করে

বারবার মানুষ প্রেমে পড়ে। এমনকি জীবনের শেষ বয়সে এসেও মানুষ প্রেমে পড়তে পারে। বারবার প্রেমে পড়ার পিছনে আমাদের আদিসত্তা সাহায্য করে। একই ঘটনার নতুনত্ব নিয়ে আসে এই আদিসত্তা এবং আমাদের মনে কামনা অনুযায়ী সব কিছু উপস্থাপন করে থাকে। যেমন আপনার যদি ক্ষুধা লাগে তাহলে সপ্নে আপনি খাবারের ছবি দেখবেন এটাই স্বাভাবিক। এই খাবারের ছবিগুলো আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন ঘটায় এই ইদ বা আদিসত্তা। কেননা আপনার সত্তাকে টিকিয়ে রাখার দায়িত্ব এই আদিসত্তার।

প্রথমত আমরা দেহের প্রয়োজনে আমরা প্রেমে পড়ি এবং এটা একসময় মনেরও প্রয়োজন সাধন করে।

এখন কোনটা দৈহিক আর কোনটা মনের প্রেম সেটা অনেক সময় পার্থক্য করতে পারিনা, আদস(ego) বা আদিসত্তা আমাদের সেটা আবিষ্কার করতে দেয়না। আদসের কাজটা হল আপনাকে আপনার কামনা পূরনের পরিবেশ সৃষ্টি করা যাতে আপনি টিকে থাকেন।

একই বিছানায় শুয়ে আছেন দুজন। কিন্তু আপনাদের কেবল আদিসত্তার কামবাসনা পূরনের জন্যই। অন্যকোনো যে সত্তা আছে তা আপনারা দেখতেই পান না। আদিম চাহিদার জন্য একত্রে মিলিত হন আবার খুব দ্রত নিজেকে আলাদা মানুষ ভেবে আলাদা হয়ে যান, তাইতো?

শুধু সামজিক চাপে নিজের স্ট্যাটাস বজায় আর আদি সত্তার চাহিদা পূরনের জন্য যদি আপনি আপনার পায়ের গতি বৃদ্ধি করেন তাহলে ভাববেন আপনি ভুল করছেন। পায়ের গতিটা থামান একবার ভাবুন। যদি আপনি আদিসত্তার দ্বারা চলতে থাকেন তাহলে আপনি মানুষ নয় পশু হয়ে যাবেন।

তবে আমাদের আদিসত্তাটার প্রয়োজন কিন্তু ব্যাপকতা না হলে আমাদের আচরন কিন্তু রুক্ষ হয়ে যাবে।তাই বার বার প্রেমে পড়াটা খুব স্বাভাবিক। আপনি তাই করছেন যাতে আপনি টিকে থাকতে পারেন। আর যাদের আদসটা উঁচু তারা তো প্রেমের ধারে কাছে আসতে পারে না। প্রেমের চেয়ে এদের মানসম্মানটা বেশী প্রিয়। নিজের মানসম্মান রক্ষার জন্য এমন মানুষ কখনো একটা মেয়ের হাত ধরার চিন্তাও করতে পারে না।
তাই আসুন নিজের সত্তা অনুযায়ী আমরা কাজ করি।

উজ্জল হোসেন
বি, এস-সি (অনার্স), এম, এস-সি, মনোবিজ্ঞান বিভাগ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

জীবন সুন্দর অপূর্ণতায় – রুহুল আমিন

শখ পূরনের একটা বয়স থাকে। একটা নির্দিষ্ট বয়সে, কোনো নির্দিষ্ট জিনিসের উপর যে আকর্ষণ থাকে, পরিণত বয়সে সেই জিনিসের উপর আগ্রহ একই রকম থাকেনা। আগ্রহ বদলে যায়। সেসব বস্তুর স্থান নেয় অন্য কিছু। কিন্তু অপূর্ণ শখের যে আফসোস, সেটা মস্তিষ্কে স্থান নেয় পাকাপাকিভাবে।

শৈশবে আমার শখ ছিল দুইটা, বল আর বন্দুক। মাঝে অল্প কিছু সময়ের জন্য গুলতি। কিন্তু টার্গেট প্র্যাকটিসের জন্য বাসার রসুন, আশেপাশের পতিত কঙ্কর, ইটের টুকরার পূর্ণ সদ্ব্যবহার (!) করায় আমার গুলতির বেদনাদায়ক নির্বাসন ঘটে। বন্দুকের ব্যবহার কিভাবে থেমেছিল মনে পড়ছে না। তবে বল কেনা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল যখন এলাকায় ক্রিকেট খেলার জন্য, চাঁদা তুলে বল আর ব্যাট কেনা শুরু করেছিলাম আমরা তখন।

কয়েকদিন আগে আমি একটা বুকশপে টিনটিনের বক্স সেট দেখলাম। পকেটে টাকা ছিল,ভাবলাম – কিনে ফেলি। ভাবতেই আমার মন এক টানে প্রায় ১০ বছর পিছনে চলে গেল। তখনো বগুড়ায় এরকম বড়লোকের বুকশপ হয়নি। টিনটিনের তখন একটা সাদাকালো আর ধূসর – তিনরঙ্গা সেট পাওয়া যেত। কোচিং এ ফেরার পর কোন এক শুক্রবার, ঈদ সালামীতে পাওয়া টাকা নিয়ে আমি গিয়েছিলাম সেই সেট কিনতে। দাম জিজ্ঞেস করার পর, টাকার যে অঙ্কটা শুনলাম – তাতে বুঝলাম শখের খাতায় আরেকটা শখ বিয়োগ করতে হবে।

লাইফ অফ পাই মুভিতে ইরফান খান যখন – In the end, the whole of life becomes an act of letting go বলার সময়, ছোট্ট একটা পজ দিয়েছিলেন, আমি বুঝেছিলাম তার ঐ ছোট্ট বিরতিতে তিনি আমার তাবৎ অপূর্ণ শখকে আটকে ফেলেছেন। আমার টিনটিনের বক্স সেট, তাড়াহুড়া করে বদ্ধ গাড়িতে পড়া কমিক, এখনো কোনো বইয়ের গায়ের দাম দেখে তাকে আবার সযত্নে তাকে রেখে আসা – সবকিছুকে ভদ্রলোক এক বিন্দু নীরবতায় প্রকাশ করেছিলেন।

লেখকঃ
রুহুল আমিন
সাইবার সিকিউরিটি এবং নেটওয়ার্ক এডমিনিস্ট্রেশন
ইউনিভার্সিটি আফ খোভদে
সুইডেন

কেদারনাথ মজুমদার

প্রাথমিক পরিচয়ঃ
বিখ্যাত ইতিহাসবিদ,সাংবাদিক ও সাহিত্যিক কেদারনাথ মজুমদার বাংলা ১২৭৭ খ্রিষ্টাব্দের ২৬ জ্যৈষ্ঠ (ইংরেজি ১৮৭০) বর্তমান কিশোরগঞ্জ জেলার কাপাসাটিয়া গ্রামে নানার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তবে তার নিজ বাড়ি গচিহাটা গ্রামে। তার বাবার নাম লোকনাথ মজুমদার ও মায়ের নাম জয়দুর্গা দেবী। মাতৃভূমির প্রতি তার ছিল গভির ভালবাসা। আর সেই ভালবাসার কারনেই তিনি আমৃত্যু পর্যন্ত গবেষণা করে গেছেন তার নিজ জেলা ময়মনসিংহের(তৎকালীন) ইতিহাস নিয়ে। তবে ইতিহাস নিয়ে তার গবেষণা শুধু ময়মনসিংহ জেলাকে নিয়েই সীমাবদ্ধ ছিল না। এর বাইরেও তিনি ‘ঢাকার বিবরণ’ ‘ফরিদপুরের বিবরণ’ নামে দুটি ইতিহাস গ্রন্থ রচনা করেছিলেন। তবে ‘ফরিদপুরের বিবরণ’ নামের গ্রন্থটির কোন হদিস এখনও পাওয়া যায় নাই।
শিক্ষা জীবনঃ
কেদারনাথ মজুমদার পড়ালেখা শুরু হয় তার নিজ গ্রামের স্কুলে। গ্রামে প্রাথমিক শিক্ষা শেষে তিনি চলে আছেন ময়মনসিংহ শহরে। সেখানে তিনি ভর্তি হন নাসিরাবাদ এন্ট্রাস স্কুলে। এরপর ভর্তি হন ময়মনসিংহ সিটি স্কুলে। ময়মনসিংহ সিটি স্কুল ছেড়ে ১৮৮৪ সালে তিনি ময়মনসিংহ জিলা স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেনীতে ভর্তি হন। এ স্কুল থেকে তিনি ১৮৮৯ সালে এন্ট্রাস পাশ করেন। এখানেই তিনি তার পড়ালেখা জীবনের ইতি টানেন।

সাহিত্যের সূচনাঃ
কেদারনাথ মজুমদারের সাহিত্যিক জীবন শুরু হয় তার নিজ বাড়ি থেকেই। তার বাবা-মা লোকনাথ মজুমদার ও জয়দুর্গা দেবী উভয়ই ছিলেন সাহিত্যানুরাগী। আর তাদের অনুপ্রেরণা থেকেই তিনি সাহিত্যের প্রতি অনুরাগী হয়ে পড়েন। নাসিরাবাদ স্কুলের হেড পণ্ডিত বেদজ্ঞ উমেশচন্দ্র বিদ্যারত্নের কাছ থেকে শাস্ত্র ও পুরাণনুশীলনে আগ্রহী হয়ে উঠেন। ময়মনসিংহ জিলা স্কুলের শিক্ষক শ্রীনাথ চন্দ্র তাকে সাহিত্যচর্চার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি উৎসাহ জোগান। এছাড়া তিনি ময়মনসিংহ জিলা স্কুলের ‘মনোরঞ্জিকা ক্লাব’ এ সাহিত্য চর্চা করতেন।

চাকরি জীবনঃ
কেদারনাথয় মজুমদারের বাবা-মার সামান্য কিছু সম্পত্তি ছিল। যা তিনি পরবর্তীতে উত্তরাধিকারসূত্রে পেয়েছিলেন। তাই সংসার চালানোর জন্য তিনি সামান্য বেতনে ময়মনসিংহ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অফিসের ফৌজদারি নকল থানায় নকলনবীশের চাকরি নেন। তবে তিন যে পর্যন্ত শিক্ষা গ্রহণ করেছিলেন তা দিয়ে চাকরি পাওয়া খুব সহজ ছিল না। তাই তার মামা কৃষ্ণকুমার রায় তাকে এ চাকরির ব্যবস্থা করে দেন। চাকরিতে যে বেতন পেতেন তা দিয়ে সংসার চালানোই ছিল দায়। আর এ চাকরির উপর নির্ভর করেই তিনি সাহিত্য চর্চাও করতেন। তবে তিনি সাহিত্য চর্চার খরচ যোগানের জন্য চাকরির পাশাপাশি পাঠ্য বই প্রণয়ন, ছাপখানা পরিচালনা ও মানচিত্র প্রকাশ ইত্যাদি কাজ করতেন। চাকরি জীবনে তিনি একসময় খুবই অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং এ অসুস্থ তিনি ১৯০১ সালে চাকরি ছেড়ে দেন।

সাংবাদিক ও সাহিত্যিক জীবনঃ
কেদারনাথ মজুমদারের সাহিত্যিক জীবন শুরু হয় স্কুলে পড়া অবস্থা থেকেই। স্কুলে পড়ার সময় তিনি রচনা করেন তার প্রথম উপন্যাস ‘স্রোতের ফুল’। তিনি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য রচনা করেন ‘ঢাকা সহচর(১৯০৮-২য় সংস্করণ)’, ময়মনসিংহ সহচর(১৯০৮), বাংলা সহচর, আদর্শ গণিত ও সচিত্রা ভুগল। চাকরি করলেও কেদারনাথ মজুমদারের সাহিত্যকর্ম ও ইতিহাস নিয়ে গবেষণা থেমে থাকেনি। বিভিন্ন নামকরা পত্র-পত্রিকায় তার লেখা ছাপা হত অহরহ। চাকরি অবস্থাতেই তিনি সম্পাদনা করেন ‘সাময়িকপত্র’। এক সময় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং চিকিৎসার জন্য কলকাতা যান। কিন্তু সেখানে গিয়েও তার সাহিত্য চর্চা থেমে থাকেনি। সংগ্রহ করতেন বিভিন্ন রকমের দুষ্প্রাপ্য গ্রন্থ পাঠ যা তিনি অসুস্থতার মধ্যেও তিনি হাতে লিখে নিতেন।

বাংলা ১২৯৫ সালের বৈশাখ মাস থেকে তিনি ‘কুমার’ নামে একটি পত্রিকা প্রকাশ করেন। যেটি প্রকাশ হয়েছিলো বাংলা ১২৯৫ সালের বৈশাখ সংখ্যা থেকে শ্রাবন সংখ্যা পর্যন্ত। কুমার পত্রিকা বন্ধ হলে তিনি চালু করেন ‘বাসনা’ নামে আরেকটি পত্রিকা। এরপর তিনি ‘আরতি’ পত্রিকার সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। বাংলা ১৩১৯ সালের কার্তিক মাসে তিনি ‘সৌরভ’ নামে একটি পত্রিকা প্রকাশ করেন। এর আগে তিনি ‘সম্মিলন’ নামে একটি পত্রিকার পরিচালক নিযুক্ত হন। যার জন্য তিনি কিছুদিন ঢাকায় বসবাস করেন।

‘সৌরোভ’ পত্রিকাটি প্রথমে পুস্তাকারে প্রকাশ হত, পরবর্তীতে তিনি এটাকে ম্যাগাজিন আকারে প্রকাশ করেন। ঐতিহ্য ও পুরাকীর্তি নিয়ে গবেষণার জন্য তিনি ময়মনসিংহে নিজ বাড়িতে প্রতিষ্ঠা করেন ‘রিসার্চ হাউস’ এবং পত্রিকা প্রকাশের জন্য প্রতিষ্ঠা করেন ‘সৌরভ প্রেস’। তার প্রতিষ্ঠিত সৌরভ পত্রিকাটি ছিল সাহিত্যের প্রাণ স্বরূপ। সেখানে লিখতেন পবিত্র কোরআন শরীফের বাংলা অনুবাদক ভাই গিরিশচন্দ্র সেন, সবভাব কবি গোবিন্দ দাস, চন্দ্রকুমার দে ও সৌরভ কুমার রায়সহ নামকরা কবি-সাহিত্যিকগণ। তবে ‘সৌরভ’ পত্রিকাটি ১৩৩৩ বঙ্গাব্দের পর বন্ধ হয়ে যায়।

কেদারনাথ মজুমদার এক সময় সাহিত্যের মধ্যমণি হিসেবে পরিনত হন। স্থানীয় কবি ও লেখকদের জন্য তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ‘সৌরভ সংঘ’। ১৩১৮ বঙ্গাব্দে প্রতিষ্ঠা করেন ‘সাহিত্য পরিষদ’। এরপর তিনি ‘ময়মনসিংহরে ইতিহাস’ নামে একটি আঞ্চলিক ইতিহাস গ্রন্থ রচনা করেন। ১৯০৪ সালে প্রকাশ করেন ‘ময়মনসিংহরের বিবরণ’ এবং এ বইয়ের দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশ করেন ১৯০৭ সালে। ‘ময়মনসিংহরে ইতিহাস’ ও ‘ময়মনসিংহরের বিবরণ’ রচনা করেন তিনি একজন নামকরা ইতিহাসবিদের খ্যাতি অর্জন করেন। এছাড়া তিনি ‘ময়মনসিংহের কাহিনী’ ও ‘ময়মনসিংহ পল্লী বিবরণ নামে দুটি ইতিহাস গ্রন্থ রচনা করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু এ দুটি বইয়ের কোন হদিস এখনও পাওয়া যায়নি। নিজ জেলার বাইরেও তিনি ইতিহাস নিয়ে গবেষণা করেছিলেন। ১৯১০ সালে তিনি রচনা করেন ‘ঢাকার বিবরণ’ এছাড়া তিনি ‘ফরিদপুরের বিবরণ’ নামে একটি ইতিহাস গ্রন্থ রচনা করেছিলেন। তবে ‘ফরিদপুরের বিবরণ’ নামের ইতিহাস গ্রন্থটির কোন সন্ধান এখনও পাওয়া যায়নি। বাংলা ১৩১৫ সালে রচনা করেন ‘সারস্বত কুঞ্জ’ নামে একটি গবেষণা গ্রন্থ। ১৯১৭ সালে রচনা করেন বাঙলা ‘সাময়িক সাহিত্য’ গ্রন্থটি। পরবর্তীতে অনেক গবেষক এ বইটিকে গবেষণার জন্য বেছে নিয়েছিলেন।

কেদারনাথ মজুমদার জীবনে চারটি উপন্যাস রচনা করেছিলেন। স্কুলের ছাত্র অবস্থায় ১৮৮৮ সালে যে ‘স্রোতের ফুল’ উপন্যাসটি রচনা করেছিলেন, পরবর্তীতে সেটির নাম পরিবর্তন করে ‘প্রফুল্ল’ নামে প্রকাশ করেন। ‘স্রোতের ফুল’ উপন্যাসটির প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল ১৮৭৭ সালের নোয়াখালী জেলার প্লাবনের(বন্যার) করুন কাহিনী। বাংলা ১৩৩০ সালে তিনি প্রকাশ করেন ‘শুভদৃষ্টি’ উপন্যাস এবং ১৩৩১ সালে প্রকাশ করেন ‘সমস্যা’ উপন্যাস। তিনি ‘দস্যুর মহত্ত্ব’ ‘সপ্ন’ ও ‘ঋণ পরিশোধ’ নামে তিনটি ক্ষুদ্র উপন্যাস লিখিছিলেন। এ তিনটি উপন্যাসকে সমষ্টি করে ১৯০৬ সালে জুলাই মাসে প্রকাশ করেন ‘চিত্র’ নামে একটি পূর্ণাঙ্গ উপন্যাস।

রামায়ন নিয়ে গবেষণাঃ
বাংলা ১৩১০ সাল থেকে কেদারনাথ মজুমদার সনাতন(হিন্দু) ধর্মের পবিত্র গ্রন্থ ‘রামায়ন’ মহাকব্যকে নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। তবে সে সময় রামায়ন নিয়ে গবেষণা করা ছিল খুবই কঠিন কাজ। তিনি ‘রামায়ন’ কে একটি ঐতিহাসিক ও সমাজতাত্ত্বিক গ্রন্থ হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন। রামায়নের উপর গবেষনা স্বরূপ তিনি ‘রামায়ন সমাজ’ নামে একটি গ্রন্থ রচনা করেন, যে বইটি তার মৃত্যুর দুই বছর পর প্রকাশ হয়েছিলো।

মৃত্যুঃ
‘রামায়ন সমাজ’ গ্রন্থটি রচনা করার সময় কেদারনাথ মজুমদার খুবই অসুস্থ হয়ে পড়েন। ১৩৩৩ বঙ্গাব্দের ৬ই জ্যৈষ্ঠ তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

Exit mobile version