শহীদ সাবের

জন্ম ও বংশ পরিচয়ঃ
কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক শহীদ সাবের ১৯৩০ সালে বর্তমান কক্সবাজার জেলার ঈদগাও এলাকায় সোনাপুর গ্রামে নানা বাড়িতে জন্ম গ্রহণ করেন। তার স্কুলের সার্টিফিকেটে নাম ছিল এ,কে, এম শহিদুল্লাহ। পড়ে তিনি সাহিত্য সমাজে শহীদ সাবের নামে পরিচিতি লাভ করেন। তার বাবার নাম সালামতউল্লাহ ও মায়ের নাম শফিকা খাতুন। তার বাবা ছিল একজন সরকারি কর্মকর্তা। সালামতউল্লাহ জীবনে দুটি বিয়ে করেন। শহীদ সাবের ছিল ১ম ঘরের সন্তান। এ ঘরে ২ টি সন্তান জন্ম গ্রহণ করেন। শহীদ সাবের ও সাইফুল্লাহ। শহীদ সাবের ছিল সাইফুল্লার ৫ বছরের বড়। সাইফুল্লাহ পানি উন্নয়ন বোর্ডে চাকরি করতেন। তার বাবা ২য় বিয়ে করেন নুরন-নাহার নামে এক কন্যাকে। তার ঘরে জন্ম নেয় আরও সাত সন্তান। শহীদ সাবের ও শফিকা খাতুন ঈদগাও এ থাকতেন শহীদ সাবের ও সাইফুল্লাহকে নিয়ে। আর শহীদ সাবের বাবা ২য় স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন কলকাতায়।

শিক্ষা জীবনঃ
শহীদ সাবেরের নানা বাড়ির সবাই ছিল শিক্ষিত। পড়ালেখার জন্য সবাই তাকে যত্ন নিতেন। তার শিক্ষার হাতেখড়ি হয় তার মায়ের কাছে। তার পর তাকে ঈদগাও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করেন। এখানে তিনি ৪র্থ শ্রেণী পর্যন্ত পড়েন। প্রতি ক্লাসে তিনি সাফ্ল্যার স্বাক্ষর রাখেন। তাই তার মা তাকে ভাল স্কুলে ভর্তির চিন্তা করে। তাই তিনি তার বাবার কাছে কলকাতায় পাঠিয়ে দেন। শুরু হল নতুন সংগ্রাম। তার বাবা তাকে ভর্তি করেন কলকাতার নামকরা হেয়ার স্কুলে। সৎ মায়ের কাছে অনেক প্রতিকূলতার মাঝে তাকে পড়তে হত। জামা কাপড় থাকত ময়লা যুক্ত। চেহারায় থাকত অম্লিন ছাপ। মা থাতেও মায়ের অভাব। তবুও তিনি এই পরিবেশে নিজেকে মানিয়ে নেন। হেয়ার স্কুলে তিনি ২য় স্থান অর্জন করেন। জড়িয়ে পড়েন বিভিন্ন শিশু সংগঠনের সাথে। ১৯৪৭ সালে দেশভাগ হলে শহীদ সাবেরের বাবা সকলকে নিয়ে নিজ গ্রামে ফিরে আসেন। শহীদ সাবের ভর্তি হলেন চট্রগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলে। ১৯৪৯ সালে চট্রগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলে থেকে তিনি ম্যাট্রিক পাশ করেন। এরপর তিনি ভর্তি হয় চট্রগ্রাম সরকারি কলেজে। ভর্তির পর তিনি কমিউনিস্ট আন্দোলনের সাথে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৫০ সালে ফেব্রুয়ারী মাসে ছাত্র ফেডারেশনের সভায় বক্তব্য দেয়ার সময় তাকে গ্রেফতার করেন। ফলে এই সময় তার পড়ালেখার চরম ব্যঘাত হয়। ১৯৫০ সালে রাজশাহী জেলা থেকে পরীক্ষা দিয়ে ইন্টারমিডিয়েট পাশ করেন। ১৯৫৪ সালে দেশের সরকার পরিবর্তন হলে তাকে মুক্তি দেয়া হয়। এরপর তিনি ভর্তি হয় জগ্ননাথ কলেজে বিএ ক্লাসে। ১৯৫৫ সালে তিনি জগ্ননাথ কলেজ থেকে বিএ পাশ করেন। এর পর তিনি আর পড়ালেখা করেনি।

রাজনৈতিক ও সাংবাদিক জীবনঃ
শহীদ সাবের স্কুলে পড়ার সময় ছোট দের বিভিন্ন সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। হেয়ার স্কুলে থাকা অবস্থায় জড়িয়ে পড়েন বিভিন্ন শিশু সংগঠনের সাথে। এসময় ছোটদের আসরের লাইব্রেরী ছিল। তিনি এখানে ছোটদের জিবনি,রাজনিতীর বই পড়তেন। ঐ সময় তিনি ‘ ছন্দশিখা’’ নামে হাতে লেখা পত্রিকা প্রকাশ করেন। এবং তিনি এর সম্পাদনার দায়িত্ব পালন করেন। ছন্দশিখার প্রথম সংখ্যার প্রচ্ছদ এঁকেছিলেন শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন।
দেশ বিভাগের পর তিন ভর্তি হলেন চট্রগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলে তখন তিনি মুকুল ফৌজ নামে একটি সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন।১৯৪৯ সালে তিনি ভর্তি হয় চট্রগ্রাম সরকারি কলেজে। ভর্তির পর তিনি কমিউনিস্ট আন্দোলনের সাথে জড়িয়ে পড়েন এবং এর কর্মী হয়। তখন কমিউনিস্ট পার্টি যারা করতেন তাদের বিরুধে সরকার কঠিন ভূমিকা পালন করতেন। কোন মিছিল মিটিং সভা করলে তাদের গ্রেফতার করা হত। ১৯৫০ সালে ফেব্রুয়ারী মাসে ছাত্র ফেডারেশনের সভায় বক্তব্য দেয়ার সময় তাকে গ্রেফতার করেন। ১ম তাকে রাখা হয় চট্টগ্রাম জেলে। পরে রজশাহী জেলে স্থানান্তর করা হয়। ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট ক্ষমতায় এলে তাকে মুক্তি দেয়া হয়। ১৯৫৫ সালে তিনি জগ্ননাথ কলেজ থেকে বিএ পাশ করার পর তিনি দৈনিক সংবাদে যোগ দেন। এখানে তিনি সম্পাদকিয় ও সাহিত্যিক পাতায় লিখতেন। ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত তিনি এখানে চাকরি করেন।

পারিবারিক জীবনঃ
শহীদ সাবের ছাত্র জীবনে ছিল পড়ালেখা ,রাজনৈতিক নিয়ে ব্যস্ত ছিল। তার উপর বিনা কারনে ৪ বছর জেল। জেল থেকে বের হয়ে কর্ম ব্যস্ততার কারনে বিয়ের কথা তিনি চিন্তা করতে পারেনি। এছাড়া তিনি বাবা মা উভয় এর কাছে তিনি ছিল অবহেলিত। রাজনীতি করে বলে তার বাবা তাকে পছন্দ করতেন না। চাপের ফলে বি,এ পাশ করার পরই তিনি কর্মে ব্যস্ত। কর্ম, রাজনীতি, সাহিত্য এসব নিয়ে তিনি মানসিক চাপে থাকতেন। এছাড়া মামার বাড়িতে থাকা অবস্থায় তিনি এক মেয়ের সাথে প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। পরে মেয়েটির বিয়ে হয়ে যায়। এরফলেই মনে হয় বিয়ের প্রতি তার অনীহা হয়ে পড়েন। ১৯৫৮ সালের পর তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন।

চাকরি জীবনঃ
শহীদ সাবের ১৯৫৫ সালে জগন্নাথ কলেজ থেকে বিএ পাশ করার পর তিনি রাজধানী পুরান ঢাকায় ওয়েস্ট এ্যান্ড হাই স্কুলে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। এখানে তিনি বেশী দিন চাকরি করেনি। চাকরি ছেড়ে তিনি দৈনিক পত্রিকায় সহকারী সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন। ১৯৫৮ সালে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ার পূর্ব পর্যন্ত তিনি এখানে চাকরি করেন। এখানে চাক্রী করা অবস্থায় তিনি পাকিস্তান সরকারের সুপিরিয়র সার্ভিস পরীক্ষা দেয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। কিন্তু তার চোখের সমস্যার কারনে পরীক্ষা দেয়নি। এরপর তিনি ফেডারেল ইনফর মেশিন সার্ভিসে পরীক্ষা দেন। এই পরীক্ষায় তিনি সবচেয়ে বেশী মার্কস পান। কিন্তু দুঃখ সাবেরের পিছু ছাড়েনা। একটার পর একটা লেগেই থাকত। তার উপর বিনা কারনে ৪ বছর জেলে থাকতে হয়। এর জন্য তাকে তৎকালীন সরকার তাকে চাকরির জন্য অযোগ্য বলে ঘোষণা করেন। এরপর তিনি শেষ চেষ্টা হিসেবে তিনি যান তৎকালীন পূর্ব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী আতাউর রহমানের কাছে। পূর্ব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী আতাউর রহমান তাকে আশ্বাস দেন চাকরী দেয়ার জন্য। কিন্তু এখানে বটে সাধল সামরিক শাসন। ১৯৫৮ সালে ৮ অক্টোবর তৎকালীন পাকিস্তানের সেনা প্রধান আয়ুব খান দেশের সামরিক শাসন জারি করেন। ফলে পূর্ব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী আতাউর রহমান ক্ষমতা চুত্য হন। পূর্ব বাংলার গণতন্ত্রের পতনের সাথে শহীদ সাবেরের ও স্বপ্নের পতন হয়।

সাহিত্যিক জীবনঃ
শহীদ সাবের ছোট কাল থেকেই সাহিত্য অনুরাগী ছিলেন। কলকাতার হেয়ার স্কুলে পড়ার সময় তিনি নিজের হাতে লেখা পত্রিকা বের করেন। এখানে তিনি নিজে নিয়মিত লেখতেন। শহীদ সাবেরের প্রথম লেখা প্রকাশ হয় দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায়। এ সময় তিনি হেয়ার স্কুলে অধ্যায়নরত। ১৯৫১ সালে তিনি কারাগারে বন্দি অবস্তায় লিখেন তার বিখ্যাত রচনা ‘ আরেক দুনিয়া থেকে’’ । এটি ছিল তার তার বন্দি জীবনের বিষয়বস্তু নিয়ে লেখা। এই লেখাটি সে সময় জেল ফাকি দিয়ে চলে যায় কলকাতার নতুন সাহিত্য পত্রিকায়। এই গ্রন্থটি প্রকাশ হয় জামিল হোসেন নামে। সে সময় তার এ রচনাটি ব্যপক আলোড়ন সৃষ্টি করেন। ১৯৪৭ সালে চট্রগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলে পড়ার সময় তিনি ‘ আবেগ’’ নামে একটি গল্পে সীমান্ত পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। ১৯৫৫ সালে তিনি প্রকাশ করেন ‘ এক টুকরো মেঘ’’ নামে একটি গল্প। এছাড়াও বিষকন্যা,জাসু ভাবীর জন্য, দেয়াল, এক টুকরো মেঘ, ছেলেটা, শেষ সংবাদ, প্রানের চেয়ে প্রিয়, যে গল্প কেউ বলে নি। যৌবন, ও চালচুলো, নামে ১০ টি গল্প নিয়ে রচিত হয় ‘’ এক টুকরো মেঘ’’ ১৯৫৭ সালে তার জেল জীবনে নতুন সাহিত্য পত্রিকায় প্রকাশিত হয় ‘’ রোজনামচা’’ গ্রন্থটি বই আকারে প্রকাশিত হয়। ১৯৫৮ সালে প্রকাশ করেন ছোটদের জন্য গল্প গ্রন্থ ‘’ ক্ষুদে গোয়েন্দার অভিযান। তিনি একই বছর ‘’ পুশকিনের ইস্কাপনের বিবি, গোগোলের পাগলে ডাইরী ও ক্যাথরিন অয়েন্স পিয়ারের কালো মেয়ের স্বপ্ন, নামে তিনটি অনুবাদ গ্রন্থ রচনা করেন।
প্রকৃতপক্ষে শহীদ সাবেরের সাহিত্য জীবন ছিল মাত্র ৪ বছর। ১৯৫৮ সালে তিনি মানসিক ভারসাম্যহিন হয়ে পড়েন। ফলে তিনি আর কোন গ্রন্থ রচনা করতে পারেনি। তার পরও তিনি কিছু কবিতা লিখেছিলেন যার কোন খবর পাওয়া যায়নি।

ভারসাম্যহীন শহীদ সাবেরঃ
শহীদ সাবের সারা জীবনই মানসিক চাপে ছিলেন। মাত্র সাত বছর বয়সে তাকে তার মা কলকাতায় পাটিয়ে দেন তার সৎ মায়ের কাছে। সৎ মা তাকে অন্য চোখে দেখতেন। সৎ মায়ে আচারনে তিনি মানসিক ভাবে অনেক কষ্ট পান। মা থাকতে ও মায়ের আদর স্নেহ থেকে তিনি বঞ্চিত হন। ১৯৫০ সালে জেলে নেয়ার পর তার মা তাকে মুক্তির জন্য অনেক ব্যবস্থা করেন করতে চেয়েছিলেন কিন্তু এতে তিনি রাজি না হওয়ায় বাবার কাছ থেকেও তিনি স্নেহ বঞ্চিত হয়। জেল থেক বের হওয়ার পর তার বাবা তাকে চাকরির জন্য চাপ তাকে সংসারের অভাবের কথা তাকে বলা হত এতে তিনি আরও মানসিক চাপে পড়েন। এছাড়াও তিনি প্রেমে ব্যর্থ হওয়ার ফলে তিনি নিজেকে অনেক ছোট ভাবতেন। মানসিক ভাবে তিনি আরও ভেঙ্গে পড়েন। সম্ভবত অত্যন্ত মানসিক চাপের কারনে ১৯৫৮ সালের শেষ দিকে মানসিক পরিবর্তন আসতে থাকে। ১৯৫৯ সালের প্রথম দিকে তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন। এরপর থেকে তিনি রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াতেন। এ সময় তার পড়নে ছিন্ন ভিন্ন কাপড় থাকত। এ সময় তিনি প্রচুর সিগারেট খেতেন। সারাদিন ঘুরে ফিরে রাত্রে ফিরতেন সংবাদ অফিসে। এখানে কখনো ফ্লোরে কখনও চেয়ারে আবার কখনও বারান্দায় ঘুমাতেন। কচিকাঁচার মেলার পরিচালক রোকনুজ্জামান খান দোদা ভাই এর চেষ্টায় সাংবাদিক ইউনিয়নের পক্ষ্য থেকে তাকে পাবনা মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করেন। এরপর তিনি কিছুটা সুস্থ হলেও চিকিৎসার ধারাবাহিকতার অভাবে তিনি আগের অবস্থায় ফিরে যান। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি সম্পূর্ণ ভাবে মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্তাতেই ছিলেন।

সন্মাননা ও স্বীকৃতিঃ
শহীদ সাবের জীবিত অবস্থায় কোন সন্মাননা পায়নি। তবে তার মৃত্যুর পর ১৯৭২ সালে বাংলা একাডেমী তার সাহিত্য সরূপ ( মরণোত্তর ) সাহিত্য পুরস্কার প্রদান করেন।

মৃত্যুঃ
১৯৭১ সালের ৩১ শে ডিসেম্বর পাকিস্তানের দো’স’র’রা সংবাদ অফিস জ্বালিয়ে দেন। শহীদ সাবের ঐ সময় সংবাদ অফিসে ঘুমাচ্ছিল। সংবাদ অফিস পু’ড়ে ছাই হয়ে যায় সে সাথে শহীদ সাবের ও পুড়ে ছাই হয়ে যায়। শহীদ সাবেরের নাম তো দূরের কথা তার কোন হাড় গোড় ও খোঁজে পাওয়া যায়নি।

১০১+ সময় নিয়ে উক্তি, সময় নিয়ে ক্যাপশন, সময় নিয়ে স্ট্যাটাস, সময় নিয়ে সেরা বাণী

সময় নিয়ে উক্তি, সময়ের বাণী, সময় নিয়ে ক্যাপশন, সময় নিয়ে সেরা বাণী, সময় নিয়ে স্ট্যাটাস: সময়ের সঠিক ব্যবহারের জন্য মানুষ ঘড়ি, ক্যালেন্ডার আবিষ্কার করেছে। তবে সময়ের ধারণাটি বের করার জন্য তারা অসংখ্য ঘন্টা ব্যয় করেছিল। আর এখন তার ফল ভোগ করছে মানুষ। কিন্তু শুধু ঘড়ি বা ক্যালেন্ডার দেখে বসে থাকলেই হবে না এর সঠিক ব্য্য করতে হবে। কারণ সময় কারো জন্য বসে থাকে না, অবিরাম চলতে থাকে। তাই আজকাল, যখনই আমরা আমাদের সময় নির্ধারণ, অগ্রাধিকার দিতে বা দেরি করার জন্য লড়াই করি, তখন আমরা সময় নিয়ে সেরা উক্তি-গুলোর দিকে ফিরে যেতে পারি – এবং দেখতে পারি যে অনুরূপ সমস্যাগুলি তাদেরও বিরক্ত করেছে। এখানে সময় নিয়ে উক্তি-র এক বিশাল সমাহার দেওয়া হলো। আপনারা এগুলোকে ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম এ ক্যাপশন হিসেবে স্ট্যাটাস দিতে পারেন। আসুন তাহলে আজ আমরা পড়ে নিই সময় নিয়ে ১০২ টি সেরা বাণী-
সময় নিয়ে উক্তি:
০১। সময় ও স্রোত কারো জন্য অপেক্ষা করে না।
জিওফ্রে চসার
০২। কঠিন সময় কখনও স্থায়ী হয় না, কিন্তু মানুষই তা কঠিন করে।
-রবার্ট এইচ।
০৩। আপনি নীরব থাকুন, প্রকৃতি আপনার হয়ে কথা বলবে।
– রেদোয়ান মাসুদ
০৪। সময় দ্রুত চলে যায়, এর সদ্ব্যবহার যারা করতে পারে তারাই সফল ও সার্থক বলে পরিচিত হয়।
— বেকেন বাওয়ার
০৫। আপনি কিছু সময়ের জন্য সমস্ত মানুষকে বোকা বানাতে পারেন ও কিছু লোককে সর্বদা বোকা বানাতে পারেন, কিন্তু আপনি সমস্ত মানুষকে সর্বদা বোকা বানাতে পারবেন না।
-আব্রাহাম লিঙ্কন
০৬। মিনিটের যত্ন নিন, ঘন্টাগুলো নিজের যত্ন নেবে।
– লর্ড চেস্টারফিল্ড
০৭। জীবন চলার পথে বাঁধা আসতেই পারে তাই বলে থেমে যাওয়ার কোনো অবকাশ নেই। যেখানে বাঁধা আসবে সেখান থেকেই আবার শুরু করতে হবে।
-রেদোয়ান মাসুদ
০৮। সময় চলে যায় না আমরাই চলে যাই।
— অস্টিন ডবসন
০৯। আপনি যে সময় নষ্ট করে উপভোগ করেন তা সময় নষ্ট হয় না।
-বার্ট্রান্ড রাসেল
১০। সময়ের সমুদ্রে আছি, কিন্তু একমুহূর্ত সময় নেই ।
— রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১১। সময়ের এক ফোঁড় অসময়ের দশ ফোঁড়।
-প্রবাদ।
১২। সময়ের সাথে মানুষ বদলায় বসন্তে যেমন ডালে ডালে, গাছে গাছে নতুন পাতা গজায় মানুষ বদলে মনে মনে।
– রেদোয়ান মাসুদ
১৩। আপনার যদি এটি সঠিকভাবে করার সময় না থাকে, তবে কখন আপনার এটি করার সময় থাকবে?
-জন উডেন
১৪। সময় আমাদের কাছে সবচেয়ে মূল্যবান জিনিস কারণ এটি সবচেয়ে অপরিবর্তনীয়।
– ডায়েট্রিচ বোনহোফার।
১৫। সময় = জীবন। তাই সময় নষ্ট মানে জীবনের অংশ নষ্ট করা। সময়কে কাজে লাগাও, জীবনও অর্থপূর্ণ হবে।
-এ্যালান লাকেইন (সময় নিয়ে উক্তি)
১৬। সময়ই টাকা।
– বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন
১৭। যে সবচেয়ে বেশি জানে সে নষ্ট সময়ের জন্য সবচেয়ে বেশি দুঃখ পায়।
– দান্তে
১৮। সাফলের চাবি হল সময় ব্যয় না করে বিনিয়োগ করা।
— স্টিফেন আর কোভি।
১৯। দুঃসংবাদ হল সময় উড়ছে। ভাল খবর হল আপনি পাইলট।
– মাইকেল আল্টশুলার
২০। সময়ের সাথে ভেসে যেও না। স্রোতের অনুকূলে সবাই-ই যায় কিন্তু তাদের কেউ মনে রাখে না। যারা স্রোতের প্রতিকূলে সাঁতরায় এবং সময়ের সঠিক ব্যবহার করে তারাই জয়ী হয়।
– রেদোয়ান মাসুদ
সময় নিয়ে ক্যাপশন
২১। চাবি হলো সময় ব্যয় করা নয়, তবে এটি বিনিয়োগ করা।
– স্টিফেন আর কোভি
২২। আপনার জীবনে আপনি যা চান তা পেতে পারেন যদি আপনি অন্য লোকেদের যা চান তা পেতে সহায়তা করেন।
– জিগ জিগলার।
২৩। তোমার ‘সময়’কে একটু করুণা করো, সবসময় নষ্ট করো না।
– অমিত কলন্ত্রী
২৪। সত্যিই সময়ই একমাত্র পুঁজি যা যেকোনো মানুষের কাছে আছে ও একমাত্র জিনিস যা সে হারাতে পারে না।
– থমাস এডিসন (সময় নিয়ে ক্যাপশন)
২৫। পরিশ্রমের কোন বিকল্প নেই।
– থমাস এডিসন
২৬। আমি নিশ্চিত যে সফল উদ্যোক্তাদের অ-সফল উদ্যোক্তাদের থেকে যা আলাদা করে তার প্রায় অর্ধেক হল বিশুদ্ধ অধ্যবসায়।
– স্টিভ জবস
২৭। একসাথে দুটি কাজ করা মানে না করা।
– পাবলিয়াস সাইরাস
২৮। প্রস্তুতি ও সময়ানুবর্তিতা একজন নেতার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুটি গুণ।
– জন আন্দ্রেয়াস উইডটসো
২৯। কোনও কিছুর জন্যই তোমার হাতে যথেষ্ঠ সময় থাকবে না। যদি কোনওকিছু তোমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়, তবে অন্য জিনিস করা বাদ দিয়ে সময় বের করে নাও।
-চার্লস বক্সটন
৩০। সময় অন্তকাল চলতে থাকবে কিন্তু মানুষের আয়ু খুবই সীমিত। তাই সময়ের দিকে চেয়ে না থেকে তাকে বাধাগ্রস্ত করে ব্যবহার করো।
– রেদোয়ান মাসুদ
৩১। সময়ানুবর্তিতা হল সময়ের চোর।
– অস্কার ওয়াইল্ড
৩২। সময় যা আমরা সবচেয়ে বেশি চাই কিন্তু যা আমরা সবচেয়ে খারাপ ব্যবহার করি।
— উইলিয়াম পেন।
৩৩। আপনি যে সময়টি উপভোগ করেন তা নষ্ট করা সময় হিসেবে ধরা হয়না ।
-বার্ট্রান্ড রাসেল
৩৪। সময়ের ক্ষতি সর্বনিম্ন অপূরণীয়।
— আর্থার শোপেনহাওয়ার
৩৬। আমাকে একটি গাছ কাটার জন্য ৬ ঘন্টা সময় দিন ও আমি প্রথম চারটি কুড়াল ধারালো করতে ব্যয় করব।
– আব্রাহাম লিঙ্কন
৩৭। হারানো সময় আর পাওয়া যায় না।
– বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন
৩৮। মানুষের কয়লা নাম্বার শত্রু হল সময় ।
— সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়
৩৯। আপনি কখনই কোন কিছুর জন্য সময় পাবেন না। আপনি যদি সময় চান তবে আপনাকে অবশ্যই এটি করতে হবে।
— চার্লস ফ্লয়েড অ্যালকট
৪০। জীবন এবং সময় পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ শিক্ষক, জীবন শেখায় সময়কে ভালোভাবে ব্যবহার করতে, সময় শেখায় জীবনের মূল্য দিতে।
— এপিজে আবুল কালাম
সময় নিয়ে স্ট্যাটাস
৪১। টাকার চেয়ে সময় বেশি মূল্যবান। আপনি বেশি টাকা পেতে পারেন, কিন্তু বেশি সময় পেতে পারেন না।
— জিম রোহন
৪২। মানুষের মন যেদিনই ক্লান্ত হয় সেদিনই তার মৃত্যু হয়।
-রেদোয়ান মাসুদ
৪৩। যতক্ষণ না তুমি নিজেকে মূল্যায়ন করবে, ততক্ষণ তুমি তোমার সময়কে মূল্য দেবে না। যতক্ষণ না তুমি তোমার সময়কে ভালোবাসো, ততক্ষণ তুমি এটা দিয়ে কিছু করতে পারবে না।
— এম. স্কট পেক
৪৪। গতকাল চলে গেছে। আগামীকাল এখনও আসেনি। আমাদের কাছে শুধু আজই আছে। আসুন শুরু করি।
– মাদার তেরেসা
৪৫। সময় সব লাগে, আপনি চান বা না চান।
– রাজা স্টিফেন
৪৬। যে মানুষ নিয়মিত এবং সময়নিষ্ঠ সে জীবনের সর্বক্ষেত্রে নিশ্চিত সাফল্য পাবে।
– শিবানন্দ সরস্বতী
৪৭। আমাদের সময়ের চেয়ে মূল্যবান একটা জিনিসই আছে, আর সেটা হল আমরা সেটা ব্যয় করি।
— লিও ক্রিস্টোফার।
৪৮। আপনার ভবিষ্যত তৈরি হয় আপনি আজ যা করেন তার দ্বারা, আগামীকাল নয়।
-অজানা
৪৯। আপনি যদি জীবনকে ভালোবাসেন তাহলে সময় নষ্ট করবেন না, কারণ সময়ই জীবন তৈরি করে ।
— ব্রুস লি (সময় নিয়ে স্ট্যাটাস)
৫০। আগের নষ্ট করা সময়ের জন্য এখন আফসোস করলে, এখনকার সময়ও নষ্ট হবে”
– মেসন কোলেই
৫১। সময় হল সবচেয়ে মূল্যবান জিনিস যা একজন মানুষ ব্যয় করতে পারে।
– থিওফ্রাস্টাস।
৫২। তুমি যা কিছু খরচ করো, সময়ই তার মধ্যে সবচেয়ে দামী।
-থিওফ্রেসটাস
৫৩। সকালে একটি ঘন্টা হারান, এবং আপনি এটি খুঁজতে সারা দিন কাটাবেন।
– রিচার্ড হোয়াটলি
৫৪। ক্যালেন্ডারের দ্বারা প্রতারিত হবেন না। আপনি যতগুলো ব্যবহার করেন, বছরে কেবল ততগুলো দিন রয়েছে। একজন ব্যক্তি এক বছরের মধ্যে মাত্র এক সপ্তাহের মূল্য পায় যখন অন্য একজন ব্যক্তি এক সপ্তাহের মধ্যে পুরো বছরের মূল্য পায়।
-চার্লস রিচার্ডস
৫৫। আপনি বিলম্ব করতে পারেন, কিন্তু সময় হবে না।
– বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন
৫৬। সাময়িক প্রয়োজন দীর্ঘ সময়ের দুঃখের কারণ।
– রেদোয়ান মাসুদ
৫৭। বিলম্বন একটি ক্রেডিট কার্ডের মতো: আপনি বিল না পাওয়া পর্যন্ত এটি অনেক মজার।” — ক্রিস্টোফার পার্কার।
৫৮। বড় হতে হলে সর্বপ্রথম সময়ের মূল্য দিতে হবে ।
— ডিকেন্স
৫৯। ব্যস্ত থাকা যথেষ্ট নয়, পিঁপড়ারাও তাই। প্রশ্ন হল, আমরা কি নিয়ে ব্যস্ত?
– হেনরি ডেভিড থোরো
৬০। আমরা যদি সময়ের যত্ন নিই, তবে সময় আমাদের জীবনের যত্ন নেবে।
– মারিয়া এজগ্রোথ
সময় নিয়ে বাণী
৬১। সময় একটি বিভ্রম। দুপুরের খাবারের সময় দ্বিগুণ হয়।
– ডগলাস অ্যাডামস
৬২। ভবিষ্যত সম্পর্কে সবচেয়ে ভালো জিনিস হল এটি এক সময়ে একদিন আসে।
– আব্রাহাম লিঙ্কন
৬৩। ভবিষ্যত আগের মতো নেই।
– যোগী বেরা।
৬৪। সময়ানুবর্তিতা বিশ্বস্ততা এবং নির্ভরযোগ্যতার সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত।
– স্টার্লিং ডব্লিউ সিল
৬৫। আমি এখনও পাহাড়ের উপরে নই, কিন্তু আমি এটি এখানে দেখতে পাচ্ছি।
— জর্জ বার্নস।
৬৬। মানুষ যখন পরিপক্ক হয় দুঃখ তখন আর তাকে কাঁদাতে পারে না, বরং পুরোনো স্মৃতি মনে করে সে হাসে যা এক সময় তাকে প্রচন্ডভাবে দুমড়ে মুচড়ে দিয়েছিল।
-রেদোয়ান মাসুদ
৬৭। আজকে পৃথিবী শেষ হয়ে যাচ্ছে তা নিয়ে চিন্তা করবেন না। অস্ট্রেলিয়ায় এটি ইতিমধ্যেই আগামীকাল।
— চার্লস এম শুলজ
৬৮। এখানে এবং এখন আমরা কীভাবে আমাদের সময় ব্যয় করি, এটি সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যেভাবে সময়ের সাথে মিথস্ক্রিয়া করতে এসেছেন তাতে বিরক্ত হয়ে থাকলে তা পরিবর্তন করুন।
-মার্সিয়া উইডার (সময় নিয়ে বাণী)
৬৯। সময়ানুবর্তিতা শিক্ষকের কাছে একটি অপরিহার্য বৈশিষ্ট্য।
– বয়েড কে
৭০। যারা সময়কে ঠিকমত ব্যবহার করতে পারে না, তারাই আসলে সময় নিয়ে অভিযোগ করে।
-যিন ডে লা ব্রুয়ের

৭১। এখন কর্মের সময়। কিছু করতে কখনই দেরি হয় না।
– কার্ল স্যান্ডবার্গ
৭২। আমাদের মধ্যে বেশিরভাগই জরুরী জিনিসের জন্য খুব বেশি সময় ব্যয় করে যা গুরুত্বপূর্ণ তার জন্য যথেষ্ট সময় দেয় না।
– স্টিভেন কোভি
৭৩। যতক্ষণ না আপনি নিজেকে মূল্যায়ন করেন, ততক্ষণ আপনি আপনার সময়কে মূল্য দেবেন না।
– এম. স্কট পেক
৭৪। সময়কে যদি ঠিকমত ব্যবহার করা যায়, তবে কেউই সময় নিয়ে অভিযোগ করবে না। তুমি যদি সময়কে ঠিকমত ব্যবহার করো, তবে কাজের পরিমান দেখে তুমি নিজেই অবাক হয়ে যাবে।
-থমাস জেফারসন
৭৫। সাফল্য এবং ব্যর্থতার মধ্যে দুর্দান্ত বিভাজন রেখাটি পাঁচটি শব্দে প্রকাশ করা যেতে পারে: ‘আমার কাছে সময় ছিল না।
-ফ্র্যাঙ্কলিন ফিল্ড
৭৬। আমরা বলি আমরা সময় নষ্ট করি, কিন্তু এটা অসম্ভব। আমরা নিজেদের নষ্ট করি।
– এলিস বোচ
৭৭। সময়ের মূল্য দিতে শেখো না হলে একদিন পস্তাতে হবে।
-অজানা
৭৮। সময় আমার অনেক কিছুই কেড়ে নিয়েছে কিন্তু আবার এমনকিছু ফিরিয়ে দিয়েছে যা আমি কখনও কল্পনাও করিনি।
-রেদোয়ান মাসুদ
৭৯। সবকিছু করার জন্য পর্যাপ্ত সময় নেই, তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিসটি করার জন্য সর্বদা যথেষ্ট সময় থাকে। – ব্রায়ান ট্রেসি
সময় নিয়ে ক্যাপশন:
৮০। সাধারণ মানুষ সময়ের চলে যাওয়াকে তেমন গুরুত্ব দেয় না। বুদ্ধিমান মানুষ এর সাথে ছুটতে চায়।
-শপেনহ্যাওয়ার
সময় নিয়ে কিছু কথা
৮১। আমাকে অবশ্যই ঘড়িটি পরিচালনা করতে হবে, এটি দ্বারা পরিচালিত হবে না।
– গোল্ডা মীর
৮২। তোমার সময় যত বছর তত বছর কি তুমি বেঁচেছিলে?
— সুইফট
৮৩। আপনার সময় কোথায় যায় তা আপনি সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। আপনি হয় এটিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যয় করতে পারেন, অথবা আপনি এটি আগুন নেভাতে ব্যয় করতে পারেন। তুমি ঠিক কর এবং আপনি যদি সিদ্ধান্ত না নেন, অন্যরা আপনার জন্য সিদ্ধান্ত নেবে।
– টনি মরগান
৮৪। সময়ের অভাব কোনও সমস্যা নয়। আসল সমস্যা হল সদিচ্ছার অভাব। প্রতিটি মানুষের দিনই ২৪ ঘন্টার।
–যিক জিগলার
৮৫। আপনি যদি আপনার পছন্দের জীবন তৈরি করার জন্য প্রতিদিন কিছু সময় আলাদা না করেন তবে আপনি আপনার সেরা জীবন যাপন করার পরিবর্তে আপনার সময় ব্যয় করবেন।” ~ মারেলিসা ফ্যাব্রেগা
৮৬। আমি তোমাদের বলেছি যে তোমরা মিনিটের খেয়াল রাখো, তাহলে দেখবে ঘন্টাগুলো আপনা থেকেই নিজেদের খেয়াল রাখছে।
— চেষ্টারফিল্ড
৮৭। ভবিষ্যত ভবিষ্যদ্বাণী করার সর্বোত্তম উপায় হল এটি তৈরি করা।
– পিটার ড্রাকার (সময়ের বাণী)
৮৮। টাকার চেয়ে সময় বেশি মূল্যবান। আপনি বেশি টাকা পেতে পারেন, কিন্তু বেশি সময় পেতে পারেন না।
– জিম রোহন
৮৯। বর্তমান সময়ে কে সত্য বলছে, কে মিথ্যা বলছে বা কে অভিনয় করছে, কে দুষ্টামি করছে বুঝা বড় দায় কারণ সবাইকে দেখতে মানুষের মতো লাগে।
-রেদোয়ান মাসুদ
৯০। দশ শতাংশ সিদ্ধান্তে এক ডলারের মূল্যবান সময় ব্যয় করবেন না।
-পিটার তুর্লা
সময় নিয়ে বিখ্যাত সেরা বাণী ও উক্তি
৯১। সময় ব্যয়ের মধ্যে কোন রহস্য নেই, রহস্য আছে এর বিনিয়োগের মধ্যে।
-স্টেফেন আর কোভে
৯২। আমরা বড় জিনিসগুলিতে ছোটখাটো সময় ব্যয় করার চেয়ে ছোট জিনিসগুলিতে বড় সময় ব্যয় করতে পারি না।
– জিম রোহন
৯৩। অনেক কিছু ফিরে আসে ফিরিয়ে আনা যায়, কিন্তু সময়কে ফিরিয়ে আনা যায় না।
— আবুল ফজল
সময় নিয়ে স্ট্যাটাস:
৯৪। অনেক কিছু করার সংক্ষিপ্ত উপায় হলো একটি সময়ে শুধুমাত্র একটি কাজ করা।
– মোজার্ট
৯৫। সময়ানুবর্তিতা হচ্ছে বিরক্তির একটি গুণ।
-এভলিন ওয়া
৯৬। অতিরিক্ত মুহূর্তগুলি সময়ের সোনার ধুলো।
– বিশপ হেল
৯৭। আমাদের অগ্রিম উদ্বেগ অগ্রিম চিন্তা ও পরিকল্পনা হয়ে উঠুক।
– উইনস্টন চার্চিল
৯৮। কী হল আপনার সময়সূচীতে যা আছে তা অগ্রাধিকার দেওয়া নয়, তবে আপনার অগ্রাধিকারগুলি নির্ধারণ করা।
– স্টিফেন কোভি
৯৯। সময়ানুবর্তিতা হল উদাসের গুণ।
– এভলিন ওয়া
১০০। আপনি যদি আরও উত্পাদনশীল হতে চান তবে আপনাকে আপনার মিনিটের মাস্টার হতে হবে।
– ক্রিস্টাল পেইন
১০১। সময়ের সত্যিকার মূল্য দাও। প্রতিটি মূহুর্তকে দখল করো, উপভোগ করো। আলস্য করো না। যে কাজ আজ করতে পারো, তা কালকের জন্য ফেলে রেখো না।
-ফিলিপ স্ট্যানহোপ
১০২। এক মিনিট দেরি করার চেয়ে খুব তাড়াতাড়ি ৩ ঘন্টা হওয়া ভালো।
– উইলিয়াম শেক্সপিয়ার মা নিয়ে উক্তি

১৩০+ বাস্তবতা নিয়ে কিছু কথা, বাস্তবতা নিয়ে উক্তি, বাস্তবতা নিয়ে ক্যাপশন, স্ট্যাটাস ও সেরা বাণী

বাস্তবতা নিয়ে উক্তি, বাস্তবতা নিয়ে কিছু কথা, বাস্তব জীবনের উক্তি, কঠিন বাস্তবতা নিয়ে ক্যাপশন, আবেগ ও বাস্তবতা নিয়ে স্ট্যাটাস, বাস্তবতা নিয়ে বাণী: জীবন মানেই উথ্যান পতন থাকবে। থাকবে কঠিন বাস্তবতাও। আর এর সাথেই মানিয়ে নিতে হবে। যে বাস্তবটার সম্মুখীন হয়নি সে কখনও জয়ী হতে পারে না। বাস্তবতা নিয়ে উক্তি বা বাস্তবতা নিয়ে ক্যাপশন আমাদের জীবনের যে জটিলতা আছে তা মোকাবিলায় অনুপ্রেরণা দিয়ে থাকে। তাই আমাদের উচিত বাস্তবতা নিয়ে কিছু কথা শোনা। অনেকে আবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে বাস্তব জীবনের উক্তি পোস্ট করতে চায়। বাস্তবতা নিয়ে স্ট্যাটাস দিতে চায়। সবার কথা চিন্তা করেই আমরা বাস্তবতা নিয়ে উক্তি-র বিশাল সমাহার নিয়ে হাজির হয়েছি। এখানে বাস্তবতা নিয়ে সেরা ১৩১ টি উক্তি দেওয়া হলো। আশা করি বাস্তবতা নিয়ে ক্যাপশন সংগ্রহ করতে আর আপনাদের কোনো ঝামেলা হবে না। পড়ুন… উপভোগ করুন…
বাস্তবতা নিয়ে উক্তি:
01.অধিকাংশ সম্পর্কে আপনি কি মনে করেন আপনার বাস্তবতাকে চালিত করে।
– স্টিভেন রেডহেড
02.অনেক কিছু ফিরে আসে, ফিরিয়ে আনা যায়, কিন্তু সময়কে ফিরিয়ে আনা যায় না।
-আবুল ফজল।
03. সুখ আর শোক দুইটাই বিলাসিতা যা পুরুষের ক্ষেত্রে মানায় না।
-রেদোয়ান মাসুদ
04. আকাঙ্ক্ষা ও ড্রাইভ ছাড়া, লক্ষ্য থাকা সত্ত্বেও কিছুই করা যায় না।
– জ্যাকসন তাভিরি
05. মৃত্যুর যন্ত্রণার চেয়ে বিরহের যন্ত্রণা যে কতো কঠিন,কতো ভয়ানক তা একমাত্র ভুক্তভুগিই অনুভব করতে পারে।
– কাজী নজরুল ইসলাম
06. আপনার জীবনের কাজ আপনার উত্তরাধিকার এবং বিশ্বের উপর আপনার প্রভাব নির্ধারণ করে।
– জার্মানি কেন্ট
07. পৃথিবীতে কঠিন বাস্তবের মধ্যে একটি বাস্তব হলো- মানুষ যখন সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে এসে পৌঁছায় আর তখনই তার প্রিয় মানুষটি হারিয়ে যায়।
-রেদোয়ান মাসুদ
08. আপনার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুটি দিন হলো আপনার জন্মের দিন ও কেন তা খুঁজে বের করেন।
– মার্ক টোয়েন
09. পৃথিবিতে সব চেয়ে অসহায় সে, যে নিজের রাগ,অভিমান, কষ্ট কাউকে দেখাতে পারেনা একটু চিৎকার করে কাঁদতে পারেনা শুধু চোখের জল লুকিয়ে হাসে।
-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
10. আপনার বাস্তবতা যা আপনি পরিবর্তন করতে চান তা কী তা সনাক্ত করুন।
– স্টিভেন রেডহেড
11. আপনার সম্পর্কে অন্য কারো মতামতকে আপনার বাস্তবতা হতে দেবেন না।
– ব্রাউন (বাস্তবতা নিয়ে কিছু কথা)
12. পৃথিবীতে কেউ কারো নয়, শুধু সুখে থাকার আশায় কাছে টানার ব্যর্থ প্রত্যয় আর দূরে চলে যাওয়ার এক বাস্তব অভিনয়।
-রেদোয়ান মাসুদ
13. আপনি আপনার নিজের বাস্তবতা তৈরি করুন।
– জেন রবার্টস
আরও পড়ুন… প্রেমের উক্তি
14. জীবনকে যেমন মৃত্যুকেও তেমনি স্বাভবিক বলে মেনে নিতে হবে
-শহীদুল্লাহ্ কায়সার
15. আপনি আপনার পছন্দের যেকোনো কিছুর স্বপ্ন দেখতে পারেন, যখনই আপনি চান এবং যতটা খুশি। কিন্তু যখন আপনি করবেন, সবসময় মনে রাখবেন যে কিছু স্বপ্ন কখনই সত্যি হবে না! পরিপূর্ণতা তাদের মধ্যে একটি!
– মৌলুদ বেনজাদী
16. আপনি এখানে শুধুমাত্র একটি সংক্ষিপ্ত পরিদর্শনের জন্য। তাড়াহুড়ো করবেন না, চিন্তা করবেন না। এবং পথ বরাবর ফুলের গন্ধ নিশ্চিত করুন।
– ওয়াল্টার হেগেন
17. আমরা সবাই পাপী; আপন পাপের বাটখারা দিয়ে; অন্যের পাপ মাপি!
– কাজী নজরুল ইসলাম
19. আপনি বাস্তব জীবনে ব্যাখ্যা পাবেন না। আপনি কেবল এমন মুহূর্তগুলি পান যা একেবারে, সম্পূর্ণরূপে, ব্যাখ্যাতীতভাবে অদ্ভুত।
– নিল গাইমান
20. তোমাকে ছাড়া থাকার কোনো সাধ্য আমার নেই, কারণ তোমাকে আমি আমার জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসি। তোমাকে ধরে রাখার কোনো উপায় আমার কাছে জানা নেই, কারণ বাস্তবতার কাছে আমি বড় অসহায়।
– রেদোয়ান মাসুদ
বাস্তবতা নিয়ে ক্যাপশন:
21. আপনি খারাপ জিনিসগুলি থেকে আড়াল করতে পারেন না এবং ভান করতে পারেন যে সেগুলির অস্তিত্ব নেই, যা আপনাকে একটি স্বপ্নের জগত দিয়ে রেখেছিল এবং স্বপ্নের জগতগুলি শেষ পর্যন্ত ভেঙে যায়। আপনাকে সত্যের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। এবং তারপর সিদ্ধান্ত নিন আপনি কি চান।
– সারাহ ক্রস (বাস্তবতা নিয়ে সেরা বাণী
22. আমি এমনভাবে পা ফেলি যেন মাটির বুকেও আঘাত না লাগে। আমার তো কারুকে দুঃখ দেবার কথা নয়।
-সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
23. আপনি ডিজাইন এবং তৈরি করতে পারেন এবং বিশ্বের সবচেয়ে বিস্ময়কর জায়গা তৈরি করতে পারেন। কিন্তু স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে মানুষের লাগে৷
-ওয়াল ডিসনি
24. ব্যথা ছাড়া, ত্যাগ ছাড়া আমাদের কিছুই হবে না।
-যু’দ্ধ ক্লাব (কঠিন বাস্তবতা নিয়ে উক্তি)
25. আপনি বাস্তবে চোখ বন্ধ করতে পারেন কিন্তু স্মৃতিতে নয়।
– স্ট্যানিসলা জের্জি লেক
26. প্রতিকূলতা সত্যের প্রথম পথ।
-লর্ড বায়রন
27. ভবিষ্যতে যার কাছ থেকে তুমি সবচেয়ে বড় কষ্টটি পাবে, আজ সে তোমার সবচেয়ে কাছের কোনো একজন।
-রেদোয়ান মাসুদ
28. আপনি বাস্তবে চোখ বন্ধ করতে পারেন কিন্তু স্মৃতিতে নয়।
– স্ট্যানিসলা জের্জি লেক
29. একটি কবিতা আসে হয় বিশাল সুখ থেকে না হয় কষ্ট থেকে।
-এ পি জে আবদুল কালাম (বাস্তবতা নিয়ে বাণী)
30. দুর্দান্ত জিনিসগুলি কখনই আরাম অঞ্চল থেকে আসেনি।
– নিল স্ট্রস
31. আপনি যত বেশি বাস্তব পাবেন পৃথিবী তত বেশি অবাস্তব হবে।
– জন লেনন
32. যতদিন ভবে, না হবে না হবে, তোমার অবস্থা আমার সম। ঈষৎ হাসিবে, শুনে না শুনিবে বুঝে না বুঝিবে, যাতনা মম।
-কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার।
33. আপনি যদি একটি সুখী জীবনযাপন করতে চান তবে এটিকে একটি লক্ষ্যের সাথে বেঁধে রাখুন, মানুষ বা জিনিসের সাথে নয়।
– আলবার্ট আইনস্টাইন
34. আপনি যদি দীর্ঘকাল বেঁচে থাকেন তবে আপনি ভুল করবেন। তবে আপনি যদি তাদের কাছ থেকে শিখেন তবে আপনি আরও ভাল মানুষ হবেন।
– বিল ক্লিনটন
35. আপনি যা চান তা আপনার সচেতন বাস্তবতায় আকৃষ্ট করুন।
– স্টিভেন রেডহেড
36. জীবনে যে পরিমান ভালোবাসা পেয়েছি তা দিয়ে কয়েক হাজার বছর বেঁচে থাকা সম্ভব কিন্তু জীবনে গুটি কয়েকজন মানুষের কাছ থেকে যে পরিমান অবহেলা পেয়েছি তা দিয়ে একদিনও বেঁচে থাকা সম্ভব না।
-রেদোয়ান মাসুদ
37. আপনি যে বাস্তবতা উপলব্ধি করছেন তার মধ্যে আপনি বন্দী।
– স্টিভেন রেডহেড
38. আপনি শুধু পরিবর্তন কামনা করতে পারবেন না; এটি একটি বাস্তবে পরিণত হওয়ার জন্য আপনাকে পরিবর্তনটি বাঁচতে হবে।
– স্টিভ মারাবোলি
39. অন্যের কষ্ট দেখতে গেলেও কষ্ট লাগে।
-হুমায়ুন আহমেদ
40. আমরা আমাদের সম্পর্কে মহাবিশ্বের বিস্ময় এবং বাস্তবতার উপর যত স্পষ্টভাবে আমাদের মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করতে পারি, আমাদের ধ্বংসের স্বাদ তত কম হবে।
– রাচেল কারসন
বাস্তবতা নিয়ে কিছু কথা:
41. আমরা একটি কল্পনার জগতে বাস করি, একটি মায়া জগতে। জীবনের মহান কাজ হল বাস্তবতা খুঁজে পাওয়া।
– আইরিস মারডক
42. কপালে সুখ লেখা না থাকলে সে কপাল পাথরে ঠুকেও লাভ নেই। এতে কপাল যথেষ্টই ফোলে, কিন্তু ভাগ্য একটুও ফোলে না।
-কাজী নজরুল ইসলাম।
43. আমরা জীবন পরিকল্পনা করতে পারি না। আমরা যা করতে পারি তা হল এর জন্য উপলব্ধ।
– লরিন হিল
44. অপমান হলো একটি তীর, যতই ভুলতে চাইবেন ততই হৃদয়ের গভীরে বিদ্ধ হবে।
-রেদোয়ান মাসুদ
45. আমরা প্রায়শই আঘাতের চেয়ে বেশি ভয় পাই এবং আমরা বাস্তবের চেয়ে কল্পনায় বেশি ভুগি।
– সেনেকা (জীবন ও বাস্তবতা নিয়ে উক্তি)
46. আমরা যে স্বপ্নের পেছনে ছুটছি এবং যে বাস্তবতা আমাদের তাড়া করছে সব সময়ই সমান্তরাল; তারা কখনও দেখা করে না।
– আই ইয়াজাওয়া
47. আমরা শুধু জানতে পারি যে আমরা কিছুই জানি না। আর এটাই মানুষের প্রজ্ঞার সর্বোচ্চ মাত্রা।
– লিও টলস্টয়
48. প্রতিদিন কিছু ইচ্ছেকে পুড়িয়ে মারি প্রতিদিন কিছু ইচ্ছেকে পাঠাই নির্বাসনে ভালবাসা কি ভীষণ প্রতারক হৃদয় ভেঙেছে যার সেই জানে।
-জয় গোস্বামী। (বাস্তবতা নিয়ে মজার উক্তি)
49. আমরা সবাই মারা যাই। লক্ষ্য চিরকাল বেঁচে থাকা নয়, লক্ষ্য এমন কিছু তৈরি করা যা করবে।
– চক পালাহ্নিউক
50. আমাদের নিজেদের বাস্তবতার সৌন্দর্যের জন্য বাঁচতে দিন৷
-চার্লস ল্যাম্বের
51. পৃথিবীর নিয়ম বড় অদ্ভুদ, যাকে তুমি সবচেয়ে বেশী ভালবাস সেই তোমার দু:খের কারন হবে।
-সমরেশ মজুমদার
52. আমি খুঁজে পেয়েছি যে আপনি যদি জীবনকে ভালোবাসেন তবে জীবন আপনাকে আবার ভালোবাসবে।
– আর্থার রুবিনস্টাইন
53. আমি বিশ্বাস করি যে আমরা এখানে বসবাস করতে, বড় হতে এবং এই পৃথিবীকে সমস্ত মানুষের স্বাধীনতা উপভোগ করার জন্য একটি ভাল জায়গা করে তুলতে আমরা যা করতে পারি তা করতে এসেছি৷
– রোজা পার্কস
54. যারা অতিরিক্ত ভালোবাসা পায় তারা ভালোবাসা ধরে রাখতে পারে না। তারা সব সময় ভালোবাসাকে অবহেলা করে। জীবনের একটা সময় গিয়ে ভালোবাসা পাওয়ার জন্য চিৎকার করে কাঁদে কিন্তু ভালোবাসা তখন আর ধরা দেয় না। কারণ সময় ঠিকই প্রতিশোধ নেয়।
-রেদোয়ান মাসুদ
55. আমি বিশ্বাস করি যে নিরস্ত্র সত্য এবং নিঃশর্ত ভালবাসা বাস্তবে চূড়ান্ত শব্দ থাকবে। এই কারণেই ডান, সাময়িকভাবে পরাজিত, মন্দ বিজয়ের চেয়ে শক্তিশালী।
– মার্টিন লুথার কিং, জুনিয়র।
56. আমি সবসময় জানতাম চোখের দিকে ফিরে তাকানো আমাকে হাসিয়ে তুলবে, কিন্তু আমি কখনই জানতাম না হাসির পিছনে তাকানো আমাকে কাঁদিয়ে তুলবে।
– ডাক্তার সেউস (বাংলা শর্ট ক্যাপশন বাস্তবতা)
58. আশা থাকে স্বপ্নে, কল্পনায় এবং সাহসে যারা স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে সাহস করে।
– করুন জোনাস সালক
59. মানুষ মরে গেলে পচে যায়, বেঁচে থাকলে বদলায়, কারণে-অকারণে বদলায়।
– মুনীর চৌধুরী
60. উপলব্ধি এবং দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে বিরোধ বাস্তবতা দ্বারা নিষ্পত্তি করা হয়।
– এডুভি ডোনাল্ড
বাস্তবতা নিয়ে স্ট্যাটাস:
61. উপলব্ধি এবং দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে রেখাটি মানুষের দ্বারা জোরে আঁকে কিন্তু বাস্তবতা দ্বারা নীরবে সংশোধন করা হয়।
– এডুভি ডোনাল্ড
62. আমার কিছু কথা ছিলো কিছু দুঃখ ছিলো আমার কিছু তুমি ছিলো তোমার কাছে।
-রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
63. এই মুহুর্তের জন্য খুশি থাকুন। এই মুহূর্ত আপনার জীবন।
– ওমর খৈয়াম(বাস্তবতা নিয়ে ক্যাপশন)
65. একজন ভালো মানুষের জীবনের শ্রেষ্ঠ অংশ হল তার সামান্য নামহীন, দায়মুক্ত দয়া এবং ভালোবাসার কাজ।
– ওয়ার্ডসওয়ার্থ
66. ক্ষমতা হলো সূর্যের আলোর মতো, তাতে কেউ আলোকিত হয় আবার কেউ পুড়ে শেষ হয়ে যায়।
-রেদোয়ান মাসুদ
67. একটি স্বপ্ন যাদু দ্বারা বাস্তবে পরিণত হয় না; এটি ঘাম, সংকল্প এবং কঠোর পরিশ্রম লাগে।
– কলিন পাওয়েল
68. অধিকার ছাড়িয়া দিয়া অধিকার রাখিতে যাইবার মত এমন বিড়ম্বনা আর না।
-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
69. এটা জীবনের দৈর্ঘ্য নয়, জীবনের গভীরতা।
– রালফ ওয়াল্ডো এমারসন
70. কঠিন পাঠ আপনার হৃদয়কে কখনও কঠিন হতে দেবেন না; জীবনের কঠিন পাঠগুলি আপনাকে আরও ভাল করার জন্য বোঝানো হয়েছে, তিক্ত নয়।
– রয় টি. বেনেট
71. দুরত্ব জানে শুধু একদিন খুব বেশি নিকটে ছিলাম।
-রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
72. কী অসম্ভব তা বলা মুশকিল, কারণ গতকালের স্বপ্নই আজকের আশা এবং আগামীকালের বাস্তবতা।
– রবার্ট এইচ. গডার্ড
73. সুন্দরী মেয়েরা পারিবারিক জীবনে সবচেয়ে বেশি অসুখী হয়, কারণ তাদের ওপর বহু পুরুষের অভিশাপ লেগে থাকে।
– রেদোয়ান মাসুদ
74. চিন্তাগুলি বিশ্বাসের দ্বারা জীবিত হয়, বাস্তবতা তৈরি করে যা আপনি অনুভব করেন।
– স্টিভেন রেডহেড
75. ছেলেরা ভালোবাসার অভিনয় করতে করতে যে কখন সত্যি সত্যি ভালোবেসে ফেলে তারা তা নিজেও জানে না। মেয়েরা সত্যিকার ভালোবাসতে বাসতে যে কখন অভিনয় শুরু করে তারা তা নিজেও জানে না।
– সমরেশ মজুমদার
76. চোখ খুলুন, ভিতরে দেখুন। আপনি যে জীবন যাপন করছেন তাতে কি আপনি সন্তুষ্ট?
– বব মার্লে
77. চোখ শুধু তাই দেখে যা বোঝার জন্য মন প্রস্তুত।
– রবার্টসন ডেভিস
78. চোখের বিনিময়ে চোখ এর এই যুদ্ধে শেষ পর্যন্ত পুরো সংসারকেই অন্ধ হয়ে থাকতে হয়।
-মহাত্মা গান্ধী(বাস্তবতা নিয়ে স্ট্যাটাস)
79. জীবন অনেক চিহ্ন সহ একটি বড় রাস্তা। সুতরাং আপনি যখন রাটসের মধ্য দিয়ে যান, আপনার মনকে জটিল করবেন না। ঘৃণা, দুষ্টুমি ও হিংসা থেকে পালিয়ে যাও। আপনার চিন্তাকে কবর দেবেন না, আপনার দৃষ্টিকে বাস্তবে রাখুন। জেগে উঠুন এবং বাঁচুন!
– বব মার্লে
80. জীবন আপনি যা তৈরি করেন তার ১০ শতাংশ, এবং ৯০ শতাংশ আপনি কীভাবে নেন।
– আরভিং বার্লিন
বাস্তব জীবনের উক্তি:
81. চলে যাওয়া মানে প্রস্থান নয়- বিচ্ছেদ নয় চলে যাওয়া মানে নয় বন্ধন ছিন্ন-করা আর্দ্র রজনী চলে গেলে আমারও অধিক কিছু থেকে যাবে আমার না-থাকা জুড়ে।
-রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ
82. জীবন একটি প্রভাব তৈরি করা, আয় করা নয়।
– কেভিন ক্রুস
83. জীবন একটি সংগ্রাম।
– উমেরা আহমেদ (বাস্তবতা নিয়ে বিখ্যাত উক্তি)
84. জীবন একটি সমস্যা সমাধান করা হয় না, কিন্তু অভিজ্ঞতা হতে একটি বাস্তবতা।
-সরেন কিয়ারগার্ড
85. জীবন একটি সাইকেল চালানোর মত. আপনার ভারসাম্য বজায় রাখতে, আপনাকে অবশ্যই চলতে হবে।
– আলবার্ট আইনস্টাইন
86. যার বিবেক যত জাগ্রত তার দুঃখ তত বেশি।
-রেদোয়ান মাসুদ
87. জীবন কোন সমস্যা সমাধানের জন্য নয়, বাস্তবতাকে অনুভব করতে হবে।
– সোরেন কিয়েরকেগার্ড
88. জীবন নিজেকে খুঁজে পাওয়ার জন্য নয়। জীবন নিজেকে সৃষ্টির মাঝেই।
– জর্জ বার্নার্ড শ
89. নিজের বোকামি বুঝতে পারার পর কারো দুঃখ হয়, কারো হাসি পায়।
-সমরেশ মজুমদার।
90. জীবন প্রাকৃতিক এবং স্বতঃস্ফূর্ত পরিবর্তনের একটি সিরিজ। তাদের প্রতিহত করবেন না; যে শুধু দুঃখ সৃষ্টি করে। বাস্তবতা হোক বাস্তবতা। জিনিসগুলিকে স্বাভাবিকভাবে এগিয়ে যেতে দিন যেভাবে তারা পছন্দ করে।
– লাও জু
91. জীবন মাইলফলকের বিষয় নয়, মুহুর্তের বিষয়।
– রোজ কেনেডি (বাস্তবতা নিয়ে কিছু কথা)
92. জীবন সত্যিই সহজ, কিন্তু পুরুষরা এটিকে জটিল করার জন্য জোর দেয়।
– কনফুসিয়াস
93. জীবন হল পাঠের ধারাবাহিকতা যা বোঝার জন্য বেঁচে থাকতে হবে।
– রালফ ওয়াল্ডো এমারসন
94. জীবনকে কখনোই সিরিয়াসলি নিবেন না। কোনভাবেই কেউ জীবিত বের হতে পারবে না।
– অজানা
95. এ পৃথিবীতে মানুষ শুধু ভুলের জন্যই অপমানিত হয় না, ফুলের জন্যও অপমানিত হয়।
-রেদোয়ান মাসুদ
96. জীবনে একটি উদ্দেশ্য ছাড়া, সুখ পৌঁছানো অনেক কঠিন ।
– মওয়ানন্দেকে কিন্দেম্বো
97. আমি একা এই ব্রহ্মান্ডের ভেতর একটি বিন্দুর মতো আমি একা।
-রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ।
98. তিনি এমন একটি বাস্তবতা থেকে পালাতে চেয়েছিলেন যা এতটাই যুক্তিযুক্ত ছিল যে এটি কিছুটা পাগল ছিল।
– ডেবোরা লেভি
99.তুমি এক বারই বাঁচবে কিন্তু যদি ঠিকভাবে বাচোঁ, এক বারই যথেষ্ট।
– মায়ে ওয়েস্ট
100. তোমার মাথায় বুদ্ধি আছে। আপনার জুতা পায়ে আছে. তুমি তোমার পথ তোমার পছন্দ মত বেছে নিতে পার।
– ডা. সেউস
বাস্তবতা নিয়ে বাণীঃ
101. দুঃখিত কিন্তু আমি জীবনের রূপকথার ধারণাটি বাঁচতে পারি না। আমি বাস্তবে বাস করি এবং আমি যে বাস্তবতা যাপন করছি সে সম্পর্কে রূপকথার গল্প নয়।
– গ্যারি টোলান
102. দৃষ্টি উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে জ্বালানি দেয়; কর্ম দৃষ্টিকে বাস্তবে রূপান্তরিত করে।
– আলু ডেনিশ ওবিয়েরো
103. নেতৃত্ব হল দৃষ্টিকে বাস্তবে রূপান্তর করার ক্ষমতা।
– ওয়ারেন বেনিস
104. নীরবে কাঁদার চেয়ে বড় কষ্ট পৃথিবীতে দ্বিতীয়টি আর নেই।
-রেদোয়ান মাসুদ
105. নেতৃত্ব হল দৃষ্টিকে বাস্তবে রূপান্তরিত করার ক্ষমতা।
– ওয়ারেন বেনিস
106. পরিস্থিতিকে তার প্রকৃত বাস্তবতার বাইরে অতিরঞ্জিত হতে দেবেন না।
– স্টিভেন রেডহেড
প্রতিটি মুহূর্ত একটি নতুন শুরু।
– টি.এস. এলিয়ট
107. প্রতিদিন আপনি যে ফসল কাটবেন তার দ্বারা বিচার করবেন না বরং আপনি যে বীজ রোপণ করেছেন তার দ্বারা বিচার করুন।
– রবার্ট লুই স্টিভেনসন
108. বড় প্রেম শুধু কাছেই টানে না; ইহা দুরেও ছুড়ে ফেলে দেয়।
– শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।
109. বাস্তবতা আপনার জীবনের জন্য দৃশ্যকল্প তৈরি করতে আপনার কল্পনার উপর নির্ভর করে।
– স্টিভেন রেডহেড
110. বড় বড় নামকরা স্কুলে বাচ্চারা বিদ্যার চাইতে অহংকার টা বেশি শিক্ষা করে।
-আহমদ ছফা
111. বাস্তবতা কল্পনার কাছে অনেক কিছু ছেড়ে দেয়।
-জন লেননের
112. বাস্তবতা নিছক একটি বিভ্রম, যদিও এটি একটি খুব স্থায়ী।
– আলবার্ট আইনস্টাইন
113. বাস্তবতার জগতের সীমা আছে; কল্পনার জগত সীমাহীন।
– জিন-জ্যাক রুসো
114. বাস্তবতার মুখোমুখি হোন, যেমনটা ছিল বা যেমনটা হতে চান তেমন নয়।
– জ্যাক ওয়েলচ
115. সুখ দুঃখ মানুষের জীবনেরই একটা অংশ। কারোটা সময়ে আসে আবার কারোটা অসময়ে।
-রেদোয়ান মাসুদ
116. বিদ্রুপের বিষয় হল, বাইবেল বুদ্ধিমান লোকদের ভেড়া বলে। যাদের বোঝার কান আছে তাদের জন্য এটাই যথেষ্ট।
– মওয়ানন্দেকে কিন্দেম্বো
117. বেঁচে থাকা পৃথিবীর বিরল জিনিস। অধিকাংশ মানুষ যে সব হয়, বিদ্যমান।
– অস্কার ওয়াইল্ড
118. ব্যক্তিগতভাবে কিছু নেবেন না। অন্যরা যা করে তা আপনার কারণে হয় না। অন্যরা যা বলে এবং করে তা তাদের নিজস্ব বাস্তবতা, তাদের নিজস্ব স্বপ্নের অভিক্ষেপ। আপনি যখন অন্যের মতামত এবং কর্মের প্রতি অনাক্রম্য হন, তখন আপনি অহেতুক কষ্টের শিকার হবেন না।
– ডন মিগুয়েল রুইজ
119. ভালোবাসা এবং সহানুভূতি প্রয়োজন, বিলাসিতা নয়। তাদের ছাড়া মানবতার বেঁচে থাকতে পারে না।
– দালাই লামা চতুর্দশ
120. ভালোবাসা দিয়ে ভালোবাসা না পেলে তার জীবন দুঃখের ও জরতার ।
-কাজী নজরুল ইসলাম
বাস্তবতা নিয়ে সেরা উক্তি
121. যদি কোনো ব্যক্তি আপনাকে চোখ বন্ধ করে না দেখে, তার মানে আপনি তাদের হৃদয়ে নেই, এবং তাদের হৃদয়ে যা নেই তা তাদের ভবিষ্যতে অনুপস্থিত।
– এডুভি ডোনাল্ড
122. যদি জীবন ভবিষ্যদ্বাণী করা হয় তবে এটি জীবন থেকে শেষ হয়ে যাবে এবং স্বাদহীন হবে।
– এলেনর রুজভেল্ট
123. যা কিছু কল্পনা করা হয়, জীবন দেওয়া হয়, তা কোনো না কোনোভাবে বাস্তবের অংশ হয়ে যায়।
– স্টিভেন রেডহেড
124. যেহেতু আমরা বাস্তবতা বদলাতে পারি না, তাই আসুন পরিবর্তন করি যে চোখ বাস্তবকে দেখে।
– নিকোস কাজানজাকিস
125. লোভ, ক্ষমতার ক্ষুধা ও আধিপত্য সবকিছুই বাস্তবতার অংশ।অভ্যস্ত হয়ে যাও।
– মৌলুদ বেনজাদী
126. শরীরের সবথেকে দামী অংশ হলো হৃদয়,সেখানে থাকার যোগ্যতা সবার থাকে না।
-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
127. সকল জীবনই একটা পরীক্ষা। আরো পরীক্ষায় আপনি কে সর্বোত্তম করে তুলতে।
– রালফ ওয়াল্ডো এমারসন
128. সময় ও স্মৃতি প্রকৃত শিল্পী; তারা বাস্তবতাকে হৃদয়ের আকাঙ্ক্ষার কাছাকাছি মনে করে।
– জন ডিউই
129. স্বপ্ন শুধু হাসায় না কাঁদায়ও।
-রেদোয়ান মাসুদ
130. সাহিত্য বাস্তবতাকে যোগ করে, এটি কেবল বর্ণনা করে না। এটি প্রয়োজনীয় দক্ষতাগুলিকে সমৃদ্ধ করে যা দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজন এবং প্রদান করে; এবং এই বিষয়ে, এটি মরুভূমিকে সেচ দেয় যা আমাদের জীবন ইতিমধ্যেই পরিণত হয়েছে৷
– এস. লুইস
131. সুখী হওয়ার দুটি উপায় ছিল: আপনার বাস্তবতা উন্নত করুন, অথবা আপনার প্রত্যাশা কম করুন।
– জোডি পিকোল্ট

মনির উদ্দীন ইউসুফ

প্রাথমিক পরিচয়ঃ বহু ভাষাবিদ , প্রাবন্ধিক, কবি, সাহিত্যিক, ঔপন্যাসিক, নাট্যকার,অনুবাদক,চলচ্চিত্রকার, গল্পকার, সাংবাদিক, এত সবগুণের অধিকারী ব্যক্তির নাম মনির উদ্দীন ইউসুফ। তাঁর লেখার মূল প্রেরণা ছিল ধর্মী জীবন ধারা, মুসলিম ইতিহাস এবং ঐতিহ্য। তিনি ছিলেন ফরাসি ভাষা ও সাহিত্যে পণ্ডিত । তিনি ছিলেন তৎকালীন সময়ের সবচেয়ে সফল অনুবাদক এবং আত্নজীবনী লেখক। 

জন্ম ও বংশ পরিচয়ঃ বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী মনির উদ্দীন ইউসুফ ১৯১৯ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারীর তড়াইল থানার জাওয়ান গ্রামের বিখ্যাত “ জাওয়ান সাহেবের বাড়িতে”। তাঁর নানা ছিলেন জাওয়ানের জমিদার আবদুল হাকিম খান চৌধুরী। সুলতান আমলের “ ইকলিম ই মুয়াজ্জামা-বাদ” নামক প্রদেশের প্রাদেশিক রাজধানী ছিল এখানে । নূর খান ইবনে রাহাত খান মোয়াজ্জেম ছিলেন জাওয়ান বাড়ির প্রতিষ্ঠাতা । মনির উদ্দীন ইউসুফের পৈতৃক নিবাস ছিল কিশোরগঞ্জের সদর থানার অন্তর্গত বৌলাই গ্রামের বৌলাই সাহেবের জমিদার । তাঁর বাবা ছিলেন জমিদার আল্লামা মিসবাহ উদ্দীন আহমদ এবং মাতার নাম সানজিদা খাতুন। বোলাইয়ে তার পরিবার এক প্রাচীন সম্ভ্রান্ত মুসলিম জমিদার পরিবার হিসেবে খ্যাত। সম্রাট জাহাঙ্গীর আমলে বাগদাদ থেকে দিল্লিতে আশা মোগল মীর বহর আশায়ক আব্দুল করিম ছিলেন এ পরিবারের প্রতিষ্ঠাতা। ভাটি অঞ্চলের নৌ-বাহিনীর কর্তৃত্ব ভার দিয়ে তাকে এ অঞ্চলে পাঠানো হয় । সম্রাট আকবরের সাথে ঈসা খাঁর যে সন্ধি চুক্তি হয় , তারই ধারাবাহিকতায় করিম খাঁর এই নিযুক্তি। ফলে দেখা যায় একটি বনেদি পরিবারে সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্ম হয় মনির উদ্দীন ইউসুফের। তার পরিবারের বেশির ভাগ সদস্য কবিসাহিত্যিক আর রাজনীতিবিদ । তাদের মধ্যে বিখ্যাত ছিলেন মাওলানা আবদুল হাই , মাহমুদুর রবি খালেদ, দিলগির আঁকবরা বাদি, যোশ মালিহা, মহিউদ্দীন মাহমুদ, সৈয়দ হাবিবুল হক ,প্রমুখ।

শিক্ষা জীবনঃ বহুল প্রজ মনির উদ্দীন ইউসুফের শিক্ষা জীবন শুরু হয় তার বাবার কাছ থেকে । তার বাবা ছিলেন প্রখ্যাত আলেম । সেই সূত্রে বাবার কাছ থেকে আরবি শিক্ষার প্রাথমিক ঙ্গান নেন। এভাবে তিনি শিশুকালেই বহু হাদিস এবং ইসলামিক ইতিহাস ও আত্নজীবনী মুখস্থ করেন। তার বাবার সখ ছিল ছেলেকে আরবী শিক্ষায় শিক্ষিত করা। কিন্তু মনির উদ্দীন ইউসুফ পরিষ্কার জানিয়েদেন তিনি আরবী লাইনে পড়াশোনা করবেন না। ইউসুফের পক্ষ হয়ে তার নানা তার বাবাকে জানিয়েদেন ,ইউসুফ জাওয়ানেই পড়াশুনা করবে। নানার ইচ্ছানুযায়ী ভর্তি হন জাওয়ান আদর্শ ইংরেজী মধ্য স্কুলে । জাওয়ান মধ্য ইংরেজী স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হয়ে তিনি ভর্তি হন কিশোরগঞ্জ রামানন্দ হাই স্কুলে ৭ম শ্রেণীতে। এই সময় তার সহপাঠী ছিলেন সৈয়দ নুরুদ্দীন।এখানে দুই বছর পড়াশুনা করে চলে যান ময়মনসিংহে । সেখানে নবম শ্রেণীতে ভর্তি হন ময়মনসিংহ জেলা স্কুলে। এখানে এসে তিনি পড়াশুনায় অনেক বেশি মনযোগি হন । ফল শ্রুতিতে ১৯৩৮সালে লেটার সহ  প্রথম বিভাগে প্রবেশিকা পরিক্ষায় উত্তীর্ন হন। এরপর তার বাবা তাকে ডঃ মুহম্মদ শহীদুল্লার পরামর্শ অনুযায়ী ঢাকা ইন্টারমেডিয়েট কলেজে ভর্তি করেদেন। ১৯৪০ সালে তিনি কৃতিত্বের সাথে আইএ পাশ করেন । ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলায় অনার্স । কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অস্থিরতার তাড়না জমিদার পরিবারের সদস্য হিসেবে তাকে প্রভাবিত করে। তাই শিক্ষা জীবনকে ইস্তফা দিয়ে চলে যান গ্রামের বাড়িতে । বাবার শত অনুরোধও মনির উদ্দীন ইউসুফকে পড়াশুনায় ফিরাতে পারেনি। এখানেই তিনি তার শিক্ষা জীবনের ইতি টানেন। 

পারিবারিক জীবনঃ সব্যসাচী মনির উদ্দীন ইউসুফ বাবার মৃত্যুর পর ১৯৪৪ সালে চাচাত বোন সাজেদা খাতুনকে বিয়ে করেন। সুনামগঞ্জের সেল বয়সের জমিদারে দেখাশুনা করার জন্য স্বসস্ত্রীক সেখানে গমন করেন । ১৯৪৯ সালে মায়ের পরামর্শে তিনি আবার ফিরে আসেন । ১৯৫১ সালে তিনি সপরিবারে চলে যান ময়মনসিং হ শহরে । ১৯৫৪ সালে জমিদারি উচ্ছেদের পর মনির উদ্দীন ইউসুফ নতুন জীবন গঠনের পত্যয় নিয়ে চলে যান ঢাকায় । বাসা নেন লালমাটিয়ায় । এভাবে সপরিবারে ভাসতে ভাসতে সর্বশেষ পুরান ঢাকার আলী নকীর দেউড়ীতে এসে স্থায়ী হন। 

কর্ম জীবনঃ মনির উদ্দীন ইউসুফের কর্ম জীবনের শুরু হয় দিল্লীতে। নতুন দিল্লীর জেনারেল হেডকোয়ার্টারে কেন্দ্রীয় সরকারের সেক্রেটারিয়েট চাকুরী নেন। চাকুরির সূত্রে তাকে বোম্বাই পাঠানো হয় । কিন্তু বাবার অসুস্থতার জন্য দেশে চলে আসলে আর ফিরে যান নি। বাবার মৃত্যুর পর তিনি বাবার জমিদারি দেখাশুনা করতে থাকেন । এর মায়ের আদেশ আর মামা আবদুল মোকাব্বির খানের নির্দেশে জওয়ান স্কুলে হেড মাস্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। জমিদারী উচ্ছেদের পর ১৯৫৪ সালে ময়মনসিং হে কন্ট্রাক্টরির ব্যবসা নেন । কিন্তু ব্যবসায়ের আগা গোড়া কিছুই জানা না থাকায় লোকসানের সম্মুখীন হন । চরম আর্থিক সংকটের মধ্যে পড়ে তিনি ঢাকায় এসে ইংরেজী দৈনিক অবজারভারে এবং পরে দৈনিক বাংলায় চাকুরি নেন। এরপর নিয়োজিত হয় ও সমানিয়া বুক ডিপুর স্বত্বাধিকারী নূরুল ইসলামের পূর্বালী পত্রিকার প্রকাশক হিসেবে। এরপর তিনি ছেলেবেলার বন্ধু সৈয়দ নুরুদ্দিনের আমন্ত্রণে কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনে যোগদান করেন। কর্পোরেশনের জনসংযোগ বিভাগে মাসিক “কৃষি সমাচার” নামক পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন । তিনি ছিলেন এই পত্রিকাটির প্রতিষ্ঠানিক সম্পাদক। এই দায়িত্বে কর্তব্যরত অবস্থায় তিনি ১৯৭৯সালে অবসর নেন । 

সাহিত্যিক জীবনঃ মনির উদ্দীন ইউসুফের সাহিত্যিক জীবনের শুরু তার বাবার মাধ্যমে । ছেলেবেলা বাবা থাকে ইসলামের বিভিন্ন কাহিনী বিশেষ করে মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সঃ) এর জীবনী বলতেন। তখন থেকেই তার জীবনে সাহিত্য বাসা বাঁধে । সপ্তম শ্রেণী থেকে তার সাহিত্য প্রতিভার বিকাশ ঘটে। ময়মনসিং হে থাকা কালে সুসাহিত্যিক আবুল মনসুর আহমেদের সাথে তার পরিচয় তার সাহিত্য চর্চাকে আরো বেশি প্রভাবিত করে । তার শিক্ষাবাদের মধ্যে ছিলেন ডঃ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ, কাজী আব্দুল ওয়াদুদ , মোহিতলাল মজুমদার , ডঃ আশুতোষ ভত্তাচার্য,কবি জসীম উদ্দীন প্রমুখ। তার হাউজ টিউটর ছিলেন কাজী মোতাহার হোসেন। এতসব ঙ্গানী গুনীর ছায়ায় তিনি হয়ে ওঠেন একজন স্মরণীয় বরনীয় লেখক। ফলে লেখা-লিখির নেশা তাকে দারুনভাবে পেয়ে বসে । ১৯৪১ সালে তার প্রথম কাব্য গ্রন্থ “উদায়ন” প্রকাশিত হয় । প্রথম গ্রন্থটি তিনি শিক্ষাগুরু কাজী ওয়াদুদের নামে উৎসর্গ করেন। এরপর রচনা করেন উর্দু বাংলা রচনা করেন। কিন্তু আর্থিক দুরবস্থার কারনে বইটির স্বত্ব বিক্রি করার কারনে বইটিতে তার নাম ছাপা হয়নি। ১৯৬০ সালে বাংলা একাডেমী থেকে প্রকাশিত হয় তার প্রথম অনুবাদ গ্রন্থ “ইকবালের কাব্য সঞ্চালন” । ১৯৬২ সালে প্রকাশিত হয় তার প্রথম উপন্যাস “ঝড়ের রাতের শেষে” । ১৯৬৩ সালে জন ম্যারিয়ান গাউস রচিত “Refection of public Administration”নামক বইয়ের তর্জমা “জনপ্রশাসনের বিভিন্ন দিক” এবং উর্দু কবি আসাদুল্লাহ খান গালিব এর “দিওয়ানই গালিব” এর অনুবাদ বাংলা একাডেমী থেকে প্রকাশিত হয়। ও সমানিয়া বুক ডিপো প্রকাশ করে তার জীবনী বিষয়ক গ্রন্থ হযরত ফাতেমা (রাঃ) (১৯৬৩), অনুবাদ গ্রন্থ “ রুমীর মাসনবী (১৯৬৬), হযরত আয়েশা (রাঃ) (১৯৬৮) ।             

সৈয়দ নিজামুদ্দিন বিরচিত উর্দু ফার্সি কবিতার অনুবাদ “কালমে রাগিব” প্রকাশিত হয় ১৯৬৬ সালে । তার রচিত “উর্দু সাহিত্যের ইতিহাস” নামক বিখ্যাত গবেষণা গ্রন্থ প্রকাশিত হয় ১৯৬৮ সালে । তার রচিত “ঈসা খাঁ” নাটকটি প্রকাশিত হয় ১৯৭০ সালে । তার রচিত অন্যান্য কবিতা গ্রন্থগুলো হল ঃ রাত্রি নয় কলাপী ময়ূর নয় (১৯৭৬), বেতন পাতা জলের ধারা (১৯৮৪), এক ঝাঁক পায়রা (১৯৮৮), মনির উদ্দীন ইউসুফের অগ্রস্থিত কবিতা-আব্দুল হাই সিকদার সম্পাদিত (১৯৯০), কাব্য সমগ্র বেলাল চৌধুরী  সম্পাদিত (২০০৮) । মনির উদ্দীন ইউসুফের সতের বছরের গবেষণার ফসল বিখ্যাত কবি ফেরদৌসী রচিত “শাহনামার” অনুবাদ গ্রস্থ যার প্রথম খণ্ড প্রকাশিত হয় ১৯৭৭সালে ,১৯৭৯সালে দ্বিতীয়টি এবং ১৯৯১ সালে ৬ খন্ডে রয়েল সাইজে একসেট সমগ্র শাহনামার তর্জমা প্রকাশিত হয় বাংলা একাডেমী কর্তৃক । তার রচিত অন্যান্য অনুবাদ গুলো হলো গালিবের কবিতা (২০০২) , হাফেজের গজল (২০০৮) । তার রচিত ইসলাম ও মুহাম্মদ (সঃ) (২০০৮),তার রচিত আত্নজীবনী গ্রন্থ “আমার জীবন আমার অভিজ্ঞতা (১৯৯২) । তার রচিত অন্যান্য উপন্যাস গুলো হলো পনসের কাটা (১৯৮১) , ওর বয়েস যখন এগারো (১৯৮১), উপন্যাস সমগ্র আব্দুল হাই সিকদার সম্পাদিত (২০০৩) । মনির উদ্দীন ইউসুফ রচিত প্রবন্ধ গ্রন্থ গুলো হলো আমাদের ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতি (১৯৭৮,১৯৮৩,১৯৯৩), কারবালা একটি সামাজিক ঘূর্ণাবর্ত (১৯৭৯,১৯৯১) , বাংলা সাহিত্যে সূফী প্রভাব (১৯৬৯,২০০১) , উর্দু সাহিত্যের ইতিহাস (১৯৬৮) , সংস্কৃতি চর্চা (১৯৮০), বাংলাদেশের সার্বিক অগ্রগতির লক্ষে একটি প্রস্তাব (১৯৮৪) , নব মূল্যায়নে রবীন্দ্রনাথ (১৯৮৯), আত্ন পরিচয় ঐতিহ্যের আলোকে (২০০৩), তার শিশুতোষ গ্রন্থ হলোঃ ছোটদের ইসলাম পরিচয় (১৯৮৬,১৯৯০,১৯৯৩,২০০২), ছোটদের রাসূল চরিত (১৯৯৩,২০০১), চলো যায় ছড়ার দেশে (২০০৩), প্রকাশিত গ্রন্থ চিঠি (বাবির কাছে লেখা ও বাবির ব্যক্তিগত পত্রাবলি ) , মনীষা (বিভিন্ন মনীষীর উপর লেখা প্রবন্ধ অসমাপ্ত কবিতা ও প্রবন্ধ, Iranian influence the Aesthetic Aspects of out life, Karbala is a social whirlpool (প্রবন্ধ), নবমূল্যায়ন ইকবাল (অসমাপ্ত প্রবন্ধ) বাংলাদেশের সার্বিক অগ্রগতির লক্ষ্যে একটি প্রস্তাব গ্রন্থের উপর ভিত্তি করে একটি রাজনৈতিক সামাজিক ইশতেহার । 

চলচ্চিত্র জীবনঃ বহুগুণের অধিকারী মনির উদ্দীন ইউসুফ চলচ্চিত্র অঙ্গনে ও পদার্পন করেছেন । ষাটের দশকের শেষ দিকে তিনি চলচ্চিত্র নির্মানে মনোনিবেশন করেন । তার চলচ্চিত্র গুলো হলো ঃ আলোমতি (১৯৬৯ সংলাপ রচনা) তানসেন (১৯৭০, আংশিক চিত্রনাট্য) , তীর ভাঙ্গা ঢেউ (১৯৭৫ , কাহিনী ,সংলাপ ও গীতি রচনা) ।এ লাইনে তার প্রচুর টাকা পয়সা খরচ হলেও আশানুরোপ ফলপাচ্ছিলেন না । তাই চলচ্চিত্র থেকে নিজেকে করে নেন । 

পুরস্কারঃ বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করা এবং বিদেশী গ্রন্থকে বাংলা ভাষায় অনুবাদ করার মাধ্যমে চির স্মরণীয় হয়ে থাকবেন মনির উদ্দীন ইউসুফ। অসংখ্য পুরস্কারে ভুষিত হন প্রতিভাবান সাহিত্যিক মনির উদ্দীন ইউসুফ । সাহিত্যের স্বীকৃতি স্বরূপ ১৯৬৮ খ্রীষ্টাব্দে গভর্ণরের স্বর্ণপদ পান। তার অন্যান্য পুরস্কার গুলো হলো বাংলা একাডেমী পুরস্কার (১৯৭৮), আবুল মনসুর আহমেদ সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮৫) , মরণোত্তর একুশে পদক(১৯৯৯)। 

মৃতুঃ বাংলা সাহিত্যতে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার জন্য প্রখ্যাত কবি , সাহিত্যিক ও গবেষক মনির উদ্দীন ইউসুফ নিরলস পরিশ্রম করে গেছেন। বাঙ্গালী পাঠকের জন্য উর্দু – ফার্সি শাস্ত্র পাঠে এক নতুন মাত্রা যোগ করেন । বহু ভাষাবিধ মনির উদ্দীন ইউসুফ । জমিদার পরিবারে বড় হয়ে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য নিয়ে তিনি যে গবেষনা করেছেন তা তা বাংলা সাহিত্যে বিরল ।এই ক্ষনজন্মা পুরুষ ১৯৮৭সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি ৬৮ বছর বয়সে ঢাকার শহীদ সোহারাওয়ার্দী হাসপাতালের পরলোকগমন করেন। কিশোরগঞ্জের বৌলাই তাকে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়। 

========০০০০০০========

হোটেল আল সালাদিয়া

মেয়েটি খুব ভালো রান্না পারে। দেখতেও অনেক সুন্দরী। বাবা চরম বিপদে পড়ে যায়। লেখাপড়া বন্ধ হয়। অতপর একটি হোটেলে কাজ নেয়- ভর্তাবাড়ি। কিন্তু সেই রান্নার সুনাম চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।

একদিন এক বড়লোক এসে তার রান্না খেয়ে থ হয়ে যায়। বাসায় গিয়ে বউকে গালি দেয়। কাজের মেয়েদেরও গালি দেয়। এরপর সে নিয়মিত ঐ হোটেলে এসে খায়। আস্তে আস্তে তাদের প্রেম হয়। বিয়ে করে বাড়ি নিয়ে যায়। আগের স্ত্রীকে তাড়িয়ে দেয়। সাথে কাজের মেয়েদেরও। কিন্তু বিয়ের পরে স্বামীর বাড়িতে তার রান্না ভালো হয় না। ফলে শুরু হয় দ্বন্দ। মেয়েটি গর্ভবর্তী হয়। চাপ দেওয়া হয় এবোরশনের। কিন্তু সে রাজী হয় না। অতপর সিদ্ধান্ত নেয় মেয়েটিকে মেরে ফেলবে। মেয়েটিকে মেরে সে নদীর মাঝে ফেলে যায়। আর বলে বেড়ায় মেয়েটি অন্য কারো সাথে পালিয়েছে। মেয়েটি বেঁচে যায় বেঁচে যায় বাচ্চাটিও। এরপর সে আগের বউকে আবার ঘরে তুলে সাথে আগের কাজের মেয়েদেরও।

অনেক বছর পর একদিন সে অন্য এক হোটেলের (হোটেল আল সালাদিয়া) কাছে যায় ক্ষুধা লাগে। ভাত খায়। কিন্তু সেই আগের মতোই স্বাদ। ছেলেটি অবাক হয়ে রান্না ঘরে যায়। গিয়ে দেখে সেই মেয়েটি একটি বাচ্চা কোলে নিয়ে রান্না করছে। আবারও তার এই রান্না খাওয়ার শখ জাগল। মেয়েটিকে আবারও নিতে চাইল কিন্তু সে রাজী হলো না। বাচ্চাটি এত সুন্দর কর মা ডাকছিল যে ছেলেটির আর প্রাণে সয় না। তারও মন চাইলো ওর বাবা ডাক শুনতে। কিন্তু সে বাবা ডাকে না। এখন কি উপায়। অবশেষে সে এই হোটেলের জায়গা কিনে নেওয়ার চিন্তা করল। কিনেও নেয়। (বাচ্চাটির নামে হোটেলটি কেনা হয়) মেয়েটি নিয়মিত ভাড়া দেয়। তবে কার নামে হোটেল তা গোপন থাকে। ছেলেটি অনেক চেষ্টা করে কিন্তু মেয়েটি রাজী হয় না। এক সময় ছেলেটি পাগল হয়ে যায়। ভবগুড়ে। নগ্ন সরীরেই ঘোরে। অনেক বছর পরে ।

বুড়ো বয়সে। রাস্তা প্রশস্ত করার জন্য সরকার জমি অধিগ্রহণ করবে। তাই হোটেলটি ভেঙ্গে ফেলা হয়। এখন হোটেল চালায় তার ছেলে। তবে মাঝে মাঝেই এক পাগল এসে ভাত খেয়ে যায়। ছেলেটির মা অসুস্থ তাই সে আর হোটেলে আসে না। সরকার জমি অধিগহন করবে তাই হোটেলটি ভেঙ্গে ফেলা হলো। তবে সেই পাগল এসে বাঁধা দেয়। কারণ সে প্রায়ই এখানে এসে ভাত খায়। বাচ্চাটি হোটেল হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যায়। কিন্তু সেই পাগল এসে বাঁধা দেয় এই জায়গায় নতুন রাস্তা করতে। বিষয়টা সে তার মায়ের কাছেও জানায়। কিন্তু হঠাত এদিকদিন ভুমি অফিস থেকে লোক এসে জানায় এই জমির মালিক এমুক।

ফলে বাচ্চাটি সরকার থেকে অনেক টাকা পায়। টাকা পেলেও পাগল্টি নিয়মিত এসে সেখানে বসে থাকে। অতপর একদিন ছেলেটির মা নতুন রাস্তা দেখতে আসে। রেল লাইন। এসে দেখে সেই পাগলটি মারা গেছে। কয়েক টুকরো লাশ একসাথে করে সাজিয়ে রাখা হয়েছে। কাপড় দিয়ে নিচের অংশ ঢেকে রাখা হলেও উপরের অংশে কোনো কাপড় ছিল না। এ সময় মেয়েটি দেখতে পায় তার হাতে একটি দাগ।

যেটি মূলত রান্না ঘরে রান্না দেখতে গিয়ে হাত পুড়ে হয়েছিল। এসময় পুলিশ এসে লাশ নিয়ে যেতে চায় কিন্তু মেয়েটি বাঁধ দেয় এবং বলে তার স্বামীর লাশ। বুড়ির কথা শুনে তার ছেলে অবাক হয়। তবে এ যে তার বাপ সেটা সে বিশ্বাস করে। কারণ তার বাবাই তো তার নামে এই জমি কিনে রেখে গিয়েছিল। অতপর ছেলেটির অনেক ইচ্ছা হয় বাবার ডাক শুনতে ও তারও মন চায় বাবা ডাক দিতে। কিন্তু তা আর হয় না। বাবা ছেলে লাশের পাশে বসে কাঁদছে আর চোখের জ্বলে ভাসছে।

Exit mobile version