আম একটি গ্রীষ্মকালীন ফল। বাংলাদেশের এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে আম হয় না। তবে ভালো মানের আমের জন্য বিখ্যাত রাজশাহী অঞ্চল। আম স্বাস্থের জন্য খুবই উপকারী। তবে মনে রাখবেন অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো নয়। আম হৃ’দ’রো’গ ও চোখের স্বাস্থ্যের খুবই উপকারী। এছাড়াও নানাবিধি রোগের ক্ষেত্রে আমের উপকারিতা পাওয়া যায়। চলুন তাহলে আজ জেনে নিই আমের ৬ টি স্বাস্থকারী উপকারিতা সম্পর্কে-
১. আম ক্যারোটিনয়েডের একটি দুর্দান্ত উৎস, যা হলুদ ফলকে রঙ দেয়। ক্যারোটিনয়েডযুক্ত খাবার খাওয়ার একটি সুবিধা হলো- এগুলো সঠিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার কার্যকারিতা বাড়ায়। এই যৌগগুলোতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যও রয়েছে।
২. আম খেলে রক্তে লিপিডের (যেমন, কোলেস্টেরল) মাত্রা নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে হৃদযন্ত্রের জন্য ভালো হতে পারে। আমে ম্যাঙ্গিফেরিন নামে একটি নির্দিষ্ট পলিফেনল থাকে, যা উদ্ভিদ ও প্রাকৃতিক ওষুধে পাওয়া যায়। ম্যাঙ্গিফেরিন গ্রহণ লিপিডের মাত্রা ও প্রদাহের মাধ্যমে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
৩. ভিটামিন প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি-এর পাশাপাশি বিটা-ক্যারোটিনও রয়েছে – একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা চোখের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সহায়তা করে। এছাড়াও আমে পাওয়া ক্যারোটিনয়েড নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট লুটেইন ও জেক্সানথিন মানুষের চোখকে নানা উপায়ে সাহায্য করে। দুটি প্রাকৃতিক যৌগ, যা রেটিনা এবং লেন্সকে রক্ষা করে।
৪. ফাইবারের পরিমাণের কারণে হজমে সহায়তা করার জন্য আম ভালো কাজ করে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, যারা চার সপ্তাহ ধরে ৩’শ গ্রাম আম (অথবা এক থেকে দুটি আম) খেয়েছেন তাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের অভিজ্ঞতার উন্নতি হয়েছে।
৫. আমে উচ্চ মাত্রার ভিটামিন সি থাকে। কোলাজেন তৈরির জন্য এই পুষ্টি উপাদান দরকার, যা ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা দেয়, বলিরেখা ও ঝুলে পড়া রোধ করতে সাহায্য করে। আম গাছের অন্যান্য অংশও ত্বকের জন্য উপকারী হতে পারে। গবেষকরা জানিয়েছেন যে, আমের পাতা থেকে পাওয়া ম্যাঙ্গিফেরা ইন্ডিকা নির্যাস স্বেচ্ছাসেবকদের একটি ছোট দলের ব্রণ কমাতে সাহায্য করেছে।
৬. আমে প্রচুর পরিমাণে পলিফেনল থাকে, যা খোসা, পাল্প ও বীজের মধ্যে পাওয়া যায়। এই উদ্ভিদ যৌগগুলোতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কার্যকলাপ রয়েছে যা কোষকে ডিএনএ ক্ষতি থেকে রক্ষা করে যা টাইপ-২ ডায়াবেটিস ও ক্যা*ন্সা’র-সহ অবক্ষয়জনিত রোগের কারণ।
আসলে আমের উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না। তবে অবশ্যই পরিমিত পরিমাণে খাবেন। আর যাদের শরীরে ডায়াবেটিস আছে তারা পাকা (মিষ্টি) আম এড়িয়ে চলবেন। আমে প্রচুর পরিমাণ সুগার আছে যা রক্তে সুগার বাড়িয়ে দেয়। তবে টক আম খেতে পারেন।