প্রাথমিক পরিচয়ঃ
ইদ্রিস আহম্মদ মিয়ার আসল পরিচয় হল তিনি ছিলেন অত্যাচারিত ও নিপীড়িত মানুষের হৃদয়ের কথা। তিনি ছিলেন একজন রাজনিতিক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক সমাজসেবক। তাকে একজন ধর্ম প্রচারক বলা হয়। ইসলাম বিষয়ে বিভিন্ন বি প্রকাশ ও মাদ্রাসা প্রতিষ্টার মাধ্যমে তিনি সমাজে একজন ইসালামি চিন্তাবিদ হিসেবে ও পরিচিতি লাভ করেন। ১৯৫৬ সালে তিনি ছিলেন ত্যকালিন প্রাদেশিক পরিষদের প্রধান মন্ত্রী শেরে বাংলা এ,কে ফজলুল হকের রাজনিতিক উপদেষ্টা ছিলেন।
জন্ম ও পরিচয়ঃ
বিখ্যাত রাজনিতিক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক সমাজসেবক ইদ্রিস আহম্মদ মিয়া ১৮৯৪ সালে ২৮ ফেব্রু ত্যকালিন রাজশাহী বর্তমান চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ থানার দাদন চক গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতার নাম লাহার উদ্দিন হাজী ও মাতার নাম তুলন বিবি। বাবা ছিলেন ধর্ম গুরু মা ছিলেন গৃহিণী। ইদ্রিস আহম্মদ মিয়ার ডাক নাম ছিল ‘’ ভাদু’’। ইদ্রিস আহম্মদ মিয়ার পরিবার ছিল মধ্যবিত্ত শ্রেনির। তবে পরিবারের সবাই ছিল অত্যন্ত ধর্ম পরায়ণ। পরিবারের সবায় ছিল মোটামোটি ফার্সি ভাষায় পারদর্শী ছিল।
পরিবার পরিচিতিঃ
ইদ্রিস আহম্মদ মিয়ার ছিল তিন ভাই তবে তার বোনের সংখ্যা জানা যায় নি। ভাইদের নাম মুন্সী সুলতান হোসেন, মুহাম্মদ শাহ-জামান, ও মুহাম্মদ ইরফান আলী। ভড় ভাই মুন্সী সুলতান হোসেন ছিল আরবি ও ফার্সি ভাষায় পারদর্শী তাই তাকে মুন্সী বলে ডাকত। এছাড়া তার অন্য দুই ভাই ছিল শিক্ষিত। তার বোনদের নাম না জানা গেলেও তার শিক্ষা জিবনে তাদের বোনের সম্পর্কে জানা যায়। শিশু ‘ ভাদু’’ (ইদ্রিস আহম্মদ মিয়া )পড়ালেখা হাতেখড়ি ছিল তার ভাই বোনদের হাতে।
শিক্ষা জীবনঃ
ইদ্রিস আহম্মদ মিয়ার পরিবার ছিল মধ্যবিত্ত শ্রেনির। তবে পরিবারের সবাই ছিল অত্যন্ত ধর্ম পরায়ণ। পরিবারের সবায় ছিল মোটামোটি ফার্সি ভাষায় পারদর্শী ছিল। তার পড়ালেখা হাতেখড়ি ছিল তার পরিবারের ভাই বোনদের হাতে। তার ভাই বোনদের হাতে আরবি ও ফার্সি ভাষা শিখেন। ইদ্রিস আহম্মদ মিয়ার বাড়ির কাছে কোন স্কুল প্রতিষ্টান ছিলনা। তায় তাকে ভর্তি করা হয় ১৯০৩ সালে প্রায় তিন মাইল দূরে দুর্লভপুর এম,ই স্কুলে। এখানে তিনি ৬ষ্ট শ্রেনি পর্যন্ত পড়ালেখা করেন। ১৯০৯ সালে তিনি ভর্তি হন মুর্শিদাবাদ জেলার নবাব বাহাদুর স্কুলে। ১৯১২ সালে ভর্তি হন মুর্শিদাবাদ সূতি থানার কাঞ্চনতলা স্কুলে। কাঞ্চনতলা স্কুলে ছেড়ে ভর্তি হন নিমতিতা হাই স্কুলে এখান থেকে তিনি ১৯১৩ সালে এন্ট্রাস পাশ করেন। এরপর তিনি ভর্তি হন রাজশাহী কলেজে। এখান থেকে তিনি ১৯১৫ সালে আই, এ পাশ করে বি,এ ভর্তি হন ১৯১৮ সালে ও তিনি কৃতিতের সাথে পাশ করেন। এছাড়া তিনি দিল্লীর জামিয়া মিলিয়াতে কিছুকাল পড়ালেখা করেন। তবে তিনি পড়ালেখা শেষ না করেই তিনি দেশে ফিরেন।
বিবাহ বন্ধন ও পারিবারিক জীবনঃ
ইদ্রিস আহম্মদ মিয়া মাত্র ১৯ বছর বয়সে চককীতি গ্রামের( শিশু) কন্যা দেল আফরোজ বেগমকে বিয়ে করেন। বিয়ের সময় তিনি ছিলেন নিমতিতা হাই স্কুলে এর বিদায়ী ছাত্র। ইদ্রিস আহম্মদ মিয়া ও দেল আফরোজ বেগম এর ছিল ৭ টি সন্তান। এরমধ্য ৩ জন পুত্র ও ৪ জন কন্যা। এদের নাম ইকবাল, তাসাদ্দক, রাবেয়া, জিন্নাতুল, তাহেরা, সুদিজান, ও রশিদা, তাদের প্রথম পুত্র ইকবাল, তাসাদ্দক ছিল জমজ । ইদ্রিস আহম্মদ মিয়ার বিয়ের মাত্র ১৬ বছর পর তার বাবা মৃতু বরন করেন। মৃতুর পর ভাইদের মধ্য দন্দ হলে সকলে পৃতক হয়ে যায়।
রাজনৈতিক জীবনঃ
রাজনৈতিক জীবনের অনুপ্রেরনা পান রাজশাহী কলেজে থেকে। এ কলেজে তার সহ পাঠি হিসেবে পান পূর্ব বাংলার প্রধান মন্ত্রী আবু হোসেন সরকারকে। রাজশাহী কলেজে পড়ার সময় তার সাথে দেখা হয় শেরে বাংলা এ,কে ফজলুল হকের সাথে। ১৯১৮ সালে দিল্লীর জামিয়া মিলিয়াতে কিছুকাল পড়ালেখা করার সময় বন্ধুত্ব হয় ঢাকার নবাবা খাজা নাজিম উদ্দিনের সাথে। এতে তিনি রাজনৈতিক জিবনে জড়িয়ে পড়েন। এরপর আস্তে আস্তে তিনি রাজনৈতিক, সমাজ সেবক হিসেবে নিজেকে নিয়োজিত করেন। বিশেষ করে কৃষকদের ন্যায্য অধিকার আদায় জমিদারদের বিরুব্দে আন্দোলন শুরু করেন। ১৯২৬ সালে ইদ্রিস আহম্মদ মিয়া দুর্লভপুরে ইউনিয়ন বোর্ডের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। তিনি হলেন প্রথম ভোটে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট। ১৯২৯ সালে তিনি মালদহ জেলা প্রজা সমিতির সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৩৭ সালে তিনি বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভার নির্বাচনে দক্ষিণ মলদহ কৃষক প্রজা পার্টির থেকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন। ১৯৪৬ সাল পর্যন্ত তিনি বঙ্গীয় সভার সদস্য ছিলেন। ১৯৪২ সালে মলদহ জেলার বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৪৬ সালে পূর্ব বাংলার আইন সভার নির্বাচনে মুসলিম লীগের বিপরীতে স্বতন্ত্র ভাবে নির্বাচন করে পরাজয় বরন করেন। ১৯৪৬ সালে ভাষা আন্দোলনে পক্ষে বিভিন্ন জনসভায় বক্তব্য প্রদান করেন। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে তিনি বাংলা ভাষাকে সমর্থন করেন। ১৯৫৪ সালে প্রদেশিক নির্বাচনে তিনি যুক্তফ্রন্ট প্রার্থী হিসেবে শিবগঞ্জ থেকে তিনি বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন। ১৯৫৮ সালে শামরিক শাসন জারি হলে প্রাদেশিক পরিষদে সদস্যপদ বাতিল হয়ে যায়। ১৯৬৪ সালের নির্বাচনে তিনি শিবগঞ্জ………………………।
কৃষক আন্দোলনে ইদ্রিস আহম্মদঃ
ইদ্রিস আহম্মদ মিয়া এর রাজনীতির সূচনা হয় কৃষক আন্দোলনের মাধ্যমেই। তার রাজনীতির মূল শক্তি ছিল সাধারণ কৃষক, দিনমুজুর, অত্যাচারিত ও নির্যাতিত জনগণ। এদের ভোটের মাধ্যমে তিনি বার বার নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি সাধারণ কৃষকদের একত্রে নিয়ে তিনি জমিদার মহাজন শোষকদের বিরুধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলেন। ১৯৩৫ সালে তিনি ময়মনসিংহের কৃষি সম্মেলনে যোগ দেন। ১৯৩৬ সালে তিনি ঢাকার কৃষক সম্মেলনে যোগদেন। সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে তিনি তার এলাকায় অনেক শিক্ষা প্রতিষ্টাণ করেন। কৃষকদের প্রতি তার অবস্তান নেয়াতে জমিদার, মহাজন শ্রেনির লোকেরা তার প্রতিষ্টীত মাদ্রাসায় আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেন। যেখানে কৃষকদের প্রতি জমিদার, মহাজন শ্রেনির লোকেরা অত্যাচারিত ও নির্যাতিত করতেন সেখানেই তিনি ছুটে যেতেন। তিনি জমিদার, মহাজন শ্রেনির লোকেরা কাছে কাটা হয়ে যান। মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তিনি কৃষকদের সেবা করে গেছেন। এর কারনে তিনি সাধারণ মানুষের কাছে অসাধারন মানুষ হিসেবে আজীবন বেচে থাকবেন। ১৯৩৭ সালে তিনি আইন সভায় কৃষকদের অত্যাচারিত ও নির্যাতিত এর বিরুধে আইন পাশ করেন।
আত্নমানবতার সেবায় ইদ্রিস আহম্মদ মিয়াঃ
ইদ্রিস আহম্মদ মিয়া তার পুরু জীবনটায় আত্নমানবতায় সেবা করে গেছেন। ১৯০৯ সালে ৭ম শ্রেনিতে পড়ার সময় গ্রামের ছেলেমেয়েদের পড়া লেখা করার জন্য তিনি নিজ গ্রামে একটি বিদ্যালয় স্থাপন করেন। মাত্র ১৫ বছর বয়সে একজন বালক দ্বারা স্কুল স্থাপন করা বিরল দৃষ্টান্ত। স্থানীয় লোকের শিক্ষার জন্য ১৯১৯ সালে দাদন চকে একটি আধুনিক মাদ্রাসা স্থাপন করেন। ১৯২০ সালে কৃষকদের প্রতি তার অবস্তান নেয়াতে জমিদার, মহাজন শ্রেনির লোকেরা তার প্রতিষ্টীত মাদ্রাসায় আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেন। পরে তিনি সরকার ও জনগণের সাহায্য পাকা করে মাদ্রাসাটির পূর্ণ নির্মাণ করেন। ১৯৩৮ সালে তিনি নির্মাণ করেন আদিনা ফজলুল হক কলেজ। ঐ সময় থানা পর্যায়ে কোন কলেজ ছিলনা। কিন্তু তিনি একটি কলেজ নির্মাণ করেন। ১৯৮৬ সালে এটিকে সরকারি করা হয়। এছাড়াও তিনি ফজলুল হক মোয়াল্লেম ট্রেনিং , ফজলুল হক গুরু ট্রেনিং এবং দাদনচক হাই স্কুল নির্মাণ করেন। ১৯৩৮ সালে বন্যায় দুর্গতদের মধ্য সাহায্য ও পূর্ণ বাস্থান নির্মাণে জন্য তিনি সাহায্য করেন। তার নেতৃতে বন্যা রিলিফ কমিটি গঠন করা হয়। বন্যায় দুর্গতদের মধ্য সাহায্য ও পূর্ণ বাস্থান নির্মাণে জন্য তিনি ঐ সময়ের খাদ্য মন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ারদীর সাথে দেখা করেন। দুই দিক থেকে সাহায্য নিয়ে এলাকার মানুষের জন্য সাহায্য করেন। ১৯৪৮ সালে তিনি রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল স্থাপন করেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনেও তার অবদান রয়েছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য তিনি মাদার বখশের সাথে একত্ব প্রকাশ করে ভিবিন্ন মিটিং সমাভেশ করেন। এছাড়াও তিনি গরিব ছাত্রদের সাহায্য করেন।
সাহিত্যিক জীবনঃ
ইদ্রিস আহম্মদ মিয়া রাজনীতি, সমাজ সেবার পাশাপাশি সাহিত্য চর্চা করে গেছেন। সাহিত্যিক ক্ষেত্রে ও তার অবদান কম নয়। ইদ্রিস আহম্মদ মিয়ার সাহিত্যিক ঘটনা শুরু হয় স্কুল থেকে। তিনি আরবি ও ফার্সি ভাষা জানত বলে ইসলামি গ্রন্থ রচনার ক্ষেত্রেও তার অবদান কম নয়। ১৯০৫ সালে তিনি তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ( ১ম প্রকাশিত গ্রন্থ ) ‘’ ইসলাম সঙ্গীত’’’ ১৯০৯ সালে রচনা করে গেছেন ‘’পতিতইসলাম’’ একটি কাব্য গ্রন্থ। ১৯২৩ সালে তিনি প্রকাশ করেন ‘’কোরআনের মহাশিক্ষ’’ গ্রন্থতির ১ম খণ্ড। ১৯২৭ সালে প্রকাশ করেন ২য় খণ্ড, ১৯৩৪ সালে প্রকাশ করেন ৩য় খণ্ড। এর ফলে তিনি মুসলিম সমাজে অনেক পরিচিতি লাভ করেন। এই গ্রন্থ পরে মানুষ সহজেই কোরআন ও হজরত মহাম্মদ (সঃ) সম্পর্কে ধারনা লাভ করতে পারেন। কারন বইটি ছিল বাংলা ভাষায় রচিত। এরপর রচনা করেন ‘’হাদিসের প্রকৃত শিক্ষা’’ ১৯২৭ সালে তিনি প্রকাশ করেন অর্থ উপার্জনের সহজ পথ। ১৯২১ সালে তিনি প্রকাশ করেন ‘’কৃষকের মর্মবাণী’’’। এরপর প্রকাশ করেন ‘’ বাংলাদেশের ইতিহাস’’ । তার সকল বই ঐ সময় ব্যপক পরিচিতি লাভ করেন। ভিবিন্ন পত্রিকায় তার লেখা বের হত। তার সব লেখা ছিল ইসলাম ও কৃষকদের অধিকার নিয়ে। পত্রিকায় প্রকাশিত গুলোর মধ্য ‘’ দুনিয়ার বোঝা চাষার ঘাড়ে’’ উপায় কি আর উপোষ ছাড়া, অতি আপন চাষী ভাই, ইত্যাদি।
ইদ্রিস আহম্মদ মিয়া রচিত গ্রন্থ গুলো হলঃ
ইসলাম সংগীত ১৯০৫, ‘’ বাংলাদেশের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস’’, ‘’কৃষকের মর্মবাণী ১৯২১, পতিত ইসলাম ১৯২৩, ‘’কোরআনের মহাশিক্ষ’’ গ্রন্থতির ১ম খণ্ড ১৯২৩, লাক্ষা আবাদ, আর্থ উপার্জনে স্বাধীন সহজ পথ, ১৯২৭, প্রজার দুঃখ কাহিনী ১৯৩৬, হাদিসের প্রকৃত শিক্ষা ১৯৩৬, ‘’কোরআনের মহাশিক্ষ’’ গ্রন্থতির ২য় খণ্ড, ১৯২৭, ‘’কোরআনের মহাশিক্ষ’’ গ্রন্থতির ৩য় খণ্ড ১৯৩৪,
অপ্রকাশিত গ্রন্থঃ
জবা, গোলাপ, গোল আন্দাম, ছোট গল্প, প্রলাপ বন্যা, তিন তালাকে বিপত্তি , মানুষ না মেথর, সাত জাতির দুর্দর্শা, সমাজ তরী , সুদের আইন।
সাংবাদিক জীবনঃ
রাজনীতি, সাহিত্য চর্চা, সমাজ সেবা, সাংবাদিক সব কিছুতেই ইদ্রিস আহম্মদ মিয়ার ছিল অবদান ও সাফ্ল্যতা। তিনি প্রথম দৈনিক আজাদ পত্রিকায় সংবাদ পাঠাতেন। পরে তিনি এই পত্রিকার সাথে বালভাবে জড়িয়ে যান। রাজশাহী কলেজে পড়ার সময় তিনি ‘’ ইসলাম প্রভা’’ নামে একটি পত্রিকায় সম্পাদনা করেন। তিনি দৈনিক নবযুগ, মাসিক মোহাম্মদ ও দৈনিক আজাদ পত্রিকায় নিয়মিত লিখেন। তিনি কাজী নজরুলের ‘ নবযুগ’ পত্রিকার সাথে সরাসরি জড়িত ছিলেন। এতে তিনি কৃষকের সমাজ চিত্র তুলে ধরেন। তিনি ঢাকা প্রকাশ পত্রিকার ছাপাকল Board of Director ছিলেন। ১৯৪২ সালে তিনি দাদন চকে একটি ছাপাকল মেশিন স্থাপন করেন। তিনি সাংবাদিক জিবনে বেশী সময় না পেলেও সংবাদ পত্রে লেখার মাধ্যমে তিনি কৃষকের জীবন চিত্র তুলে ধরেন। পাশাপাশি তিনি কৃষকদের অত্যাচারের খবর ও তাদের প্রকৃত জীবন চিত্র গণ মানুষের কাছে প্রকাশ করেন।
সন্মাননাও স্বীকৃতিঃ
ইদ্রিস আহম্মদ মিয়ার জীবনে সবচেয়ে বেশী সন্মাননাও স্বীকৃতি পেয়েছেন তার সবচেয়ে প্রিয় কৃষকদের কাছ থেকে। এজন্য তিনি গরিবদের পাশে থাকের জন্য এবং সাহায্য করার জন্য সে সময় তাকে ‘’ গরিবের বন্দু’’ বলে ডাকা হত। তার মৃত্যুর ২৫ বছর পর বাংলাদেশ সরকার তাকে মরণোত্তর পদক প্রদান করে তার কর্মের সন্মাননাও স্বীকৃতি প্রদান করেন।
মৃত্যুঃ
অবশেষে ১৯৬৬ সালে ৯ অক্টোবর ইদ্রিস আহম্মদ মিয়া সবাইকে কাঁদিয়ে চিরবিদায় নেন। তখন তার বয়স ছিল ৬৭ বছর। মৃত্যুর পর আদিনা ফজলুল হক কলেজ পাজ্ঞনে দাফন করে