– এ কী, তুমি হাসছ যে!
– কেন, হাসতে নেই?
– কিন্তু এই হাসি যে আমাকে…।
– থামলা কেন, বলেই ফেলো।
-তুমি কি জানো না, হাসিও কারো কারো মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়?
– ছিঃ! ওসব বাজে বকতে নেই। কিন্তু তোমার চোখে জল কেন?
– শুধু কাঁদলেই কি চোখে জল আসে?
– আজীবন তো তাই দেখে এলাম, এ কী তুমি আবার হাসছ?
– ঐ যে তোমার ব্যাকুল মন, আমার মনটিও যে প্রশান্ত হয়ে গেল?
– যাও, আমার চোখের সামনে থেকে সরে দাঁড়াও। মেয়েমানুষের কাছে আসতে নেই।
– মেয়েমানুষ কি স্বপ্নে দেখা পরি, যে কাছে গেলেই উড়ে যাবে?
– উড়ে যায় না, প্রয়োজন ফুরিয়ে যায়।
– ভোমরা কিন্তু ফুলের মধু খায় না, জমিয়ে রাখে।
– কিন্তু মানুষ মধু খেয়ে হারিয়ে যায়।
– ভালোবাসা ফুরানোর জিনিস নয়। কাছে এলে…।
– থামলা কেন? বারবার এমন করলে আমার বুক কাঁপে যে।
– দেখি তো কোথায় কাঁপছে?
– ছিঃ! ওসব দেখতে নেই।
– তোমার চোখে আজ এত ধার কেন? আমি যে খুন হয়ে যাচ্ছি।
– হলাম না হয় আজ খুনি। কিন্তু তোমার চোখেও যে অনেক ধার।
– তাহলে আমিও খুনি?
– তাই তো দেখছি। আচ্ছা একটা কথা জিজ্ঞেস করব, উত্তর দেবে তো?
– কেন দেবো না? কিন্তু সব কথা কি আর মুখে বলা যায়?
– মুখে যা বলা যায় না, তা চোখে বলে দিলেই তো হয়।
– হ্যাঁ, এজন্যই তো আজ খুনের অপরাধে দুজন একই খাঁচায় বন্দি। বলো তুমি কী জানতে চাও?
– বলবে তো, সত্যি সত্যি?
– আজ না হয় একটু মিথ্যা বললাম, তাই বলে কি মেনে নিতে পারবে না?
– কিন্তু তোমার চোখ যে আজ সব সত্যি বলে দিচ্ছে।
– শুধুই চোখ?
– এ কী! তুমি কাঁপছো যে?
– সেটা কি তোমরা বোঝো? বুঝলে আর একথা জিজ্ঞেস করতে না।
– দেখি তো কোথায় কাঁপছে?
– ভালো হচ্ছে না কিন্তু ছাড়ো বলছি।
– ছাড়তে তো ভালোবাসি নাই। এ কী, তুমি একেবারে শান্ত হয়ে গেলে যে!
– আগেই তো বলেছি, তোমরা আসলে মেয়েদের মন বোঝো না।
– না বুঝলে কী করে তুমি শান্ত হলে?
– ছিঃ! অমন করো না তো, বকা দেবো কিন্তু।
– বকা? হা হা হা।
– কেন বকতে নেই?
– ওটা বকা না, মধু।
– মধু কিন্তু বেশিদিন থাকলে বিষ হয়ে যায়।
– আমি সেই বিষেই মরতে চাই।

আগস্ট ২০২২
কাঁটাবন, ঢাকা

By admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *