চারদিকে রোদে খাঁ খাঁ করছে। কতগুলো পাখি উড়ে যাচ্ছে। কয়েকটি হাঁস পুকুরের জলে পাখা মেলে দৌড়াচ্ছে আর প্যাক প্যাক করছে। হালকা বাতাসে গাছের পাতা দুলছে। গ্রামের এক যুবক পুকুরের দিকে মুখ করে গাছের নিচে বসে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিচ্ছে। এ সময় গফুরের ছেলে রাশেদ এসে তাকে ধাক্কা দিয়ে পুকুরে ফেলে দেয়। ক্রোধে লোকটির চোখ দুটি জ্বলজ্বল করছে।
কিন্তু নিমেষেই সেই ক্রোধ নিয়ন্ত্রণ করে দৌড়ে একটু দূরে দাঁড়িয়ে থাকা রাশেদকে বলল, ‘এইদিকে আয়, কিছু কমু না।’
‘না, আপনি আমারে মারবেন’ এই বলে রাশেদ দৌড়ে আরেকটু সামনে গিয়ে দাঁড়াল। লোকটি একটু হেসে বলল, ‘আরে না, কিছু কমু না। তাছাড়া আমি তো এমনিতেই নাইতাম এহন।’ লোকটির কথা শুনে রাশেদ সামনে এলো। লোকটি রাশেদের হাতে পাঁচটি টাকা তুলে দিয়ে বলল,
‘এই নে, এইডা দিয়া কিছু কিন্না খাইছ। আর হোন, তোর বাহে যহন আমার মতোন মুততে বইবো তহন তারেও এইভাবে ধাক্কা দিবি। তাইলে তোরে আরও পাঁচ টাহা দিমু।’
রাশেদের মুখটি উজ্জ্বল হয়ে উঠল। সাথে সাথেই বলল, ‘দিবেন তো? না দিলে কিন্তু পরে আপনেরে আবার ধাক্কা দিয়া হালাই দিমু।’
‘কইলাম তো দিমু’ এই বলে লোকটি মনে মনে হাসতে হাসতে বাড়ির দিকে পা বাড়াল।
রাশেদ নতুন পাঁচ টাকার নোট পেয়ে খুশিতে আত্মহারা। কখন বায়োস্কোপওয়ালা আসবে আর সে বায়োস্কোপ দেখবে, এই আশায় রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে আছে। বায়োস্কোপকে এলাকার সবাই টকি বলে। বর্তমান সময়ের মতো তখন টেলিভিশনের আধিক্য ছিল না। কয়েক গ্রাম ঘুরলে হয়তো এক বাড়িতে টেলিভিশন পাওয়া যেত। তাই ওই সময়ে বায়োস্কোপ ছিল বিনোদনের একটি অন্যতম মাধ্যম। তাতে জানা-অজানা, বিনোদনসহ নানা ধরনের দৃশ্য দেখানো হতো। কিছুক্ষণ যেতেই এক বায়োয়স্কোপওয়ালা তার হাতে থাকা ঘণ্টাটি বাজাতে বাজাতে ডাকতে লাগল, ‘টকি দ্যাখবে, টকি! টকি দ্যাখবে, টকি!’
রাশেদ ডাক দিয়ে বায়োস্কোপওয়ালাকে থামালো। এরপর বায়োস্কোপওয়ালা তার হাতে থাকা ঘণ্টা বাজিয়ে আবারও জোরে জোরে ডাকতে লাগল, ‘টকি দ্যাখবে, টকি…।’
বায়োস্কোপওয়ালার ঘণ্টা ও ডাক শুনে চারদিক থেকে বাচ্চারা পয়সা হাতে দৌড়ে আসতে লাগল। আস্তে আস্তে তারা মৌমাছির মতো বায়োস্কোপটি ঘিরে ধরল। শুরু হলো বায়োস্কোপ দেখা। বায়োস্কোপের ভেতরে যা যা দেখানো হচ্ছে তা জোর গলায় বলতে লাগল লোকটি,
রাজার ছেলে আইয়া পড়ছে, রানি তো খেইপা আছে।
রাজায় কয় এই মাইয়া আনমু না, রাজপুত্র কয় তারে ছাড়া বিয়া করমু না।
রাজপুত্র বন্দি হইলো, প্রেমিকা বিষ খাইবার ঘোষণা দিলো।
দাসী আইসা জেলখানায় সেই খবর দেয়, পাহারাদার গোপনে মুক্তি দেয়।
রাজপুত্র যায় প্রেমিকার কাছে, না খাইয়া শুকাই গেছে।
বুকে জড়াইয়া দুজন চোখ ভাসায়, রাতের আঁধারে গোপন প্রণয়।
এই খবর গেলে রাজার কাছে, ধইরা আনার আদেশ আসে।
অতঃপর বন্দি দুজন, তাই দেখিয়া রানির ক্রন্দন।
রাজায় তা শোনে না, সৈন্যদের প্রাণ মানে না।
রাত হইলে রাজপুত্রকে দেয় ছাড়িয়া, প্রেমিকার জন্য যায় প্রাণ কাঁদিয়া।
রাজপুত্র প্রেমিকার কামরায় আইলো, দুজনের আবার মিলন হইলো।
রানি যায় সব জাইনা, অবশেষে বধূ হিসেবে নেয় মাইনা।
বায়োস্কোপ দেখা শেষ হলে রাশেদ বাইরে তাকিয়ে ঝাপসা দেখছে। হাত দিয়ে চোখ ডলতে ডলতে সে সোজা ঘরে চলে এলো। তার বয়স কম হলেও দুষ্টুমির ওস্তাদ। সারাদিন এদিক ওদিক ঘোরাই তার কাজ। রুমে ঢুকে সে যা দেখল এমন দৃশ্য সে কিছুক্ষণ আগে বায়োস্কোপেও দেখেছে। তার মা কল্পনা ও ছোট চাচা ফয়েজ জড়িয়ে ধরে আছে। তাকে দেখার সাথে সাথেই কল্পনা কাঁথা দিয়ে নিজের শরীর ঢাকল আর ফয়েজ লুঙ্গিটা টেনে নিয়ে শরীরে জড়াল।
এগুলো কী হচ্ছে? কিছুই বুঝতে পারেনি রাশেদ। সে জিজ্ঞেস করল, ‘কাকা, তুমি কি রাজপুত্র?’ ফয়েজ এমনিতেই থতমত খেয়ে আছে, তার ওপর ভাতিজার এমন প্রশ্নে আঁতকে উঠল। সাথে সাথে সে চেয়ারের ওপর রাখা জামাটা গায়ে দিয়ে পকেট থেকে একটা পাঁচ টাকার নতুন নোট বের করে রাশেদের হাতে তুলে দিয়ে বলল, ‘ক্যান, কী হইছে বাবা?’ ‘তুমি মার সাথে যেমন করছো, একটু আগে টকির মইদ্দে রাজপুত্র একটা মাইয়ার সাথে এমনই করেছে।’
ফয়েজ বুঝতে পারল রাশেদ বায়োস্কোপ দেখেছে। আর বায়োস্কোপে কী দেখায় তা সে ভালো করেই জানে। তাই সে আবার পকেট থেকে চারটি পঁচিশ পয়সার কয়েন হাতে দিয়ে বলল, ‘এইগুলা মাইনসেরে কইতে হয় না, আর কইলে কিন্তু টকি আর আইবো না।’ রাশেদ ওই পয়সাগুলো নিজের পকেটে গুঁজে বলল, ‘তাইলে আর কয়ডা পয়সা দাও, নাইলে কিন্তু খ্যালতে যাইলে সবাইরে কমু আমাগো বাইত্তে টকি দ্যাহা যায়। তহন কিন্তু সবাই ঘরে আইয়া টকি দ্যাখতে চাইবো।’ ভাতিজার কাণ্ড দেখে ফয়েজ আকাশ থেকে পড়ল। পকেট থেকে পাঁচ পয়সার পাঁচটা কয়েন বের করে রাশেদের হাতে দিয়ে বলল, ‘ঠিক আছে, তয় এইগুলা আর মাইনসেগো কইস না, তাইলে কিন্তু সবাই ঘরে আইয়া ঘর নষ্ট কইরা হালাবো।’ রাশেদ তার চাচার হাত থেকে পয়সাগুলো ছোঁ মেরে নিয়ে দৌড়ে চলে গেল। এই সুযোগে কল্পনা কাঁথার মধ্যে থেকে উঠে ফয়েজকে বাইরে যেতে বলে গায়ে কাপড় জড়াতে লাগল।
আমেনা চুলায় লাকড়ি গুঁজে তরকারি রান্না করছে। ইতোমধ্যে ভাতের মার গালানোর জন্য পাতিল মালসায় বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। হাতে কতকগুলো শালুক। এগুলো নিচু জমিতে জমে থাকা পানির মধ্যে থেকে উঠিয়ে এনেছে ফয়েজ। আমেনা শালুক ছিলে টুকরো টুকরো করছে। শালুকগুলো মাছের মধ্যে দেওয়া হবে। কিছু শাপলাও আছে। মাছের মধ্যে শালুক দেওয়ার পরে সে শাপলার লতাগুলো কুটছে। বিয়ের শাড়ি শরীরে না থাকলেও হাতে মেহেদির দাগ ঠিকই আছে। তরকারি কোটার সময় আস্তে আস্তে সেই দাগ উঠে যাচ্ছে। কিন্তু তার মনের কী হলো?
কী যেন চিন্তা করে নাকের ওপর শিশিরের মতো বিন্দু বিন্দু ঘাম জমছে। মুখটিও কেমন যেন মেঘলা আকাশের মতো বিবর্ণ হয়ে আসছে। শাপলাগুলো কোটা শেষ হলে আমেনা সেগুলোকে একটি মাটির পাত্রে ঢেলে ধুতে লাগল। এ সময় রাশেদ এসে তার সামনে পয়সাগুলো ফেলে বলল, ‘দ্যাখছো কাকি, আমার কতগুলা পয়সা! এইগুলা কাকায় দিছে।’
‘হ এইজন্যই তো তুমি কাকারে ছাড়া কিচ্ছু বুজো না। কাকায় খুব ভালো মানুষ, তাই না?’ এই বলে আমেনা মাটির পাত্র থেকে কাটা শাপলাগুলো ভাজি করার জন্য কড়াইতে উঠিয়ে দিলো।
‘তুমি পচা, আমারে পয়সা দাও না। আমি কাকারে কমু তোমারে বাইত্তে থেইকা খ্যাদাই দিতে।’ কথাটা শুনে আমেনা চুলায় লাকড়ি দিতে দিতেই হাসতে লাগল।
কল্পনা ইদানীং আমেনার খুব ভুল ধরছে। যেটা করতে যায় সেটাতেই নাকি ভুল হয় আমেনার। বিষয়টা সে ফয়েজকে জানালেও তাতে কান দেয়নি। বলেছে, ‘তুমি ছোট মানুষ। এহনও সবকিছু ঠিকমতো হিগো নাই, তাই এইগুলারে দোষ না ধইরা হিগো। তাছাড়া একসাথে তো আর আজীবন থাকোন যাইব না। একদিন না একদিন জুদা হইতেই হইবো। তাই কামে ভুল ধরলে তো তোমারই লাভ। সবকিছু হিগগা গ্যালা।’
স্বামীকে যে কীভাবে বোঝাবে তা বুঝতে পারছে না আমেনা। তাই তার মন চায় নিজের চুল নিজেই ছিঁড়তে। তারপরেও মুখ খুলে বলল, ‘তাই বইলা আমি এতটা বোকা না যে কিছুই হিগগা আহি নাই। মায় তো হারাদিন খেতের জিরাত, গরু, ছাগল আর হাঁস-মুরগি নিয়া পইড়া থাকতো। আমিই তো রান্না-বান্নাসহ সংসারের সব কাম সামলাইছি।’
‘আরে মাগি, হেইডা বাপের বাড়ি। আর এইডা হউর বাড়ি। যে তোমার ভুল ধরতাছে হ্যার বিয়ার পর হাইজ্জা ভাবি ভুল ধরত। আবার হাইজ্জা ভাবির ভুল ধরতো মাইজ্জা ভাবি, মাইজ্জা ভাবির ভুল ধরত বড় ভাবি। এহন বুজছো তো সব? বিয়ার পর হউর বাইত্তে কয়ডা দিন মরণ কামড় থাকে। একটা কতা আছে নাÑ যে সহে সে রহে। এই মরণ কামড়ডা সইয়া গ্যালে তারে আর কেউ কামড়াইতে পারে না। কামড় খাইতে খাইতে নিজেই সাপ হইয়া যায়। তাই মুক বুইজা কয়ডা দিন সইজ্জ করো। দ্যাখবা সব ঠিক হইয়া গ্যাছে।’ স্বামীর কথায় যদিও কিছুটা যুক্তি খুঁজে পেল আমেনা, তবে ‘মাগি’ বলে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করাটা তার ভালো লাগল না। তারপরেও কী আর করার! স্বামী বলে কথা। মুখটি গোমড়া করে খাটের সাথে মাথা হেলান দিয়ে বসে রইল।
ফয়েজ বারবার কী যেন চিন্তা করছে। মাঝে মাঝেই তার মুখটি মলিন হয়ে যায়। আবার মোচড় দিয়ে অন্যদিক মুখ করে তাকিয়ে থাকে। বিষয়টা লক্ষ করছে আমেনা। কিন্তু কিছু না বলে সে হারিকেনের আলো কমিয়ে দিলো। আধো আলোতে স্বামীর মুখ স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে না। ফয়েজ আমেনার সামনে এসে বলল, ‘এত তাড়াতাড়ি আলোডা কমাই দিলা?’ আমেনা ফয়েজের হাতে একটু চাপ দিয়ে মিটিমিটি হেসে বলল,
‘এহন কয়ডা বাজে তা কি জানো? শুদু কি মাইনসের পোলাগো হাতে পয়সা গুঁইজা দিলেই হইবো? নিজের পোলাহান লাগব না?’ কথাটা শুনে ফয়েজের বুকের মধ্যে কেঁপে উঠল। ‘তাইলে কি কিছু জাইনা গেল আমেনা? রাশেদ কি কিছু কইছে তারে? কিন্তু কওয়ার তো কতা না। তাছাড়া ও তো এত কিছু বুজে না।’ কথাগুলো মনে মনে বলে আবার নিজের মনকে শক্ত করল ফয়েজ। এরপর আমেনাকে জড়িয়ে ধরে বলল, ‘ক্যান, কী হইছে? রাশেদ তো আমাগোই পোলা।’
ফয়েজের স্পর্শে আমেনার সকল অভিযোগ দূর হয়ে গেল। বুকের মাঝে জমে থাকা বরফ গলে শীতল হয়ে গেল। এর মধ্যে সে অনুভব করল ফয়েজ কাঁপছে। ‘কিন্তু এমন তো কহনো হয়নি’ মনে মনে এই প্রশ্ন করে আমেনা ফয়েজের বুকে হাত দিয়ে বলল, ‘এ কী! তোমার বুকের মইদ্দে লাফাইতাছে ক্যান?’ আমেনা ফয়েজের স্পর্শে একেবারে নীরব হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু কোনো মেয়ের মনের বিরুদ্ধে কিছু হলে তো এতটা শান্ত থাকার কথা না। তাছাড়া এগুলো জেনে গেলে শরীর স্পর্শ করলে গরুর মতো সিদা লাথি দিতো। কথাগুলো ভেবে ফয়েজ বুঝে নিলো যে আমেনা কিছুই জানে না। ‘হ, লাগব তো। বাঁইচা থাকতে যদি পোলা মাইয়া বিয়া দিয়া নাতিনাতনি না দেইখা যাই তাইলে জীবনের আর কী মূল্য থাকল।’ কথাগুলো বলতে বলতে ফয়েজ হারিকেনটি একেবারে নিভিয়ে দিয়ে আমেনার বুকে ঝাঁপিয়ে পড়ল। আমেনা আর কিছু বলতে পারল না। অনুভূতিতে তার বুকের মধ্যেও লাফাতে লাগল।
চারদিকে সূর্যের আলো পড়ে ফরসা হয়ে আসছে। খোঁয়াড়ে আটকে রাখা হাঁসমুরগি বের হওয়ার জন্য জোরে জোরে ডাকছে। গোয়ালে রাখা গরুগুলোও হাম্বা হাম্বা করছে। কিন্তু ফয়েজ আর আমেনার কোনো খবর নেই। সেই যে ঘুমিয়েছে তো ঘুমিয়েছেই। ইতোমধ্যে রাশেদ ঘুম থেকে উঠে গেছে। এদিক ওদিক পায়চারি করে সে ফয়েজের ঘরের জানালা দিয়ে উঁকি দেয়। এরপর সে কিছু না বলেই মায়ের কাছে চলে যায়। ‘মা মা, কাকায় না কাকির সাথে টকি খ্যালে।’ কথাটা শুনে কল্পনা হেসে ফেলে। পরক্ষণে সেই হাসি নিয়ন্ত্রণ করে সে রাশেদের গালে একটি থাপ্পড় মেরে বলল, ‘আর যদি কহনো টকি খ্যালার কতা মুকে আনোছ, তাইলে কিন্তু একেবারে শ্যাষ কইরা দিমু।’ কথাটা বলতে যতটুকু সময় লাগল; মুহূর্তেই তার বুকের মাঝে দাউদাউ করে আগুন জ্বলতে লাগল। ‘না না, আমি ভুল হুনছি’ এই বলে কল্পনা একেবারে কেঁদেই দিলো।
ততক্ষণে অবশ্য রাশেদও মায়ের মার খেয়ে কাঁদতে কাঁদতে বাবার কাছে চলে গেছে। ‘বাবা বাবা, মায় আমারে মারছে। তুমি যাইয়া মায়রে মাইরা দিবা কিন্তু!’
‘কোতায় মারছে দেহি তো।’ এই বলে গফুর রাশেদকে কোলে তুলে নিলো। রাশেদ লাফ দিয়ে কোল থেকে নেমে তাকে টানতে টানতে বলল,
‘এহনই মায়রে মাইরা দিতে হইবো, তাড়াতাড়ি নও।’ গফুর আবারও ছেলেকে কোলে টেনে নিয়ে বলল,
‘ঠিক আছে চল, তোর মায়রে এহনই মাইরা দিমু। কিন্তু তোর মায় যদি মইরা যায় তহন কারে মা বইলা ডাকবি?’ কথাগুলো শুনে রাশেদ আঁতকে উঠল। তার বুকের মধ্যে হাতুড়ি পেটানোর শব্দ হতে লাগল। সাথে সাথে সে জোরে চিৎকার দিয়ে বলল, ‘না, আমার মায়রে মারবা না। মায় মইরা গ্যালে আমি কার কাছে থাকমু?’