সুখ ও শোক ২টাই এক ধরনের বিলাসিতা যা পুরুষের ক্ষেত্রে আসলে মানায় না। সবুরের অবস্থা ঠিক এরকমই হয়েছে। পরিবারের সবাইকে হারিয়েও ভাইদের সাথে কাজে লেগে যায় সে। যদিও সবাই তাকে বাধা দিয়েছিল কিন্তু তাতে পাত্তা দেয়নি সবুর। একা মানুষ, ভাইদের সাথে খেয়ে-পরে জীবন পার করতে পারবে। কিন্তু সে এটাও জেনে গেছে, সামনে আরও বড় যুদ্ধ আসছে। অন্নের যুদ্ধ। এতদিন ভাইদের খেতে কাজ করে মজুরি নিলেও এখন আর নেয় না। ভাইয়েরা টাকা দিতে চাইলেও তার এক কথাÑ সে এই টাকা নিয়ে কাদের পেছনে খরচ করবে?
যেদিন যেই ঘরে একটু ভালো সালুন রান্না হয় সেদিন সেই ঘরে তার ডাক পড়ে। তাছাড়া তার কোনো ঘরও নেই এখন। জীর্ণ-শীর্ণ যেই ঘরটি তার জীবনে কাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল সেই ঘরটি আর নতুন করে মেরামতের উপযোগী ছিল না। তবে অন্ন রাঁধতে ঠিকই কাজে লাগছে। ইতোমধ্যে এটি ভেঙে লাকড়ি বানানো হয়েছে। আর এই লাকড়ি পোড়ার উত্তাপেই এখন তাদের চুলায় ভাত ফোটে। কথায় আছেÑ হাতি মরলেও এক লাখ, বাঁচলেও এক লাখ। ওইরকম অবস্থাই হয়েছে ঘরটির।
সবুর তার চোখ দুটি মেলতে পারে না, সামনে ভেসে ওঠে স্ত্রী-সন্তানদের ছবি। বিশেষ করে ছোট্ট মেয়েটির ছবি তার চোখের সামনে থেকে কোনোভাবেই সরে না। বৃষ্টিতে পানি জমা খেত থেকে যখন সে বাটি দিয়ে বালতিতে পানি উঠাচ্ছিল তখন তার চোখের জলও টপটপ করে পড়ছিল। জীবনভর কাজ করেই বড় হয়েছে সে। তাই এক বালতি পানি তার কাছে কিছুই না। কিন্তু চোখের জল পড়া বালতির পানি যে সেদিন তার কাছে কত ভারী লেগেছিল তা সে-ই জানে।
আজ দুই-তিন মাস পেরিয়ে গেছে। এলাকার বউ-ঝিরা তাকে বিয়ে করানোর জন্য প্রচণ্ড চাপ দিচ্ছে। এমনকি তার শ্বশুর-শাশুড়িও বলেছেন বিয়ে করতে। তাদের মেয়ে কিংবা নাতি-নাতনিদের কোনো চিহ্ন নেই। নতুন বিয়ের পরে জামাইয়ের সাথে তাদের সম্পর্ক ছেদ হবে। অথচ এটা জেনেও তারা তাদের জামাইকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছেন। এটাই বাংলাদেশের নিয়ম। পুরুষের বউ মরছে তো বিয়ে করতে হবে। পারলে তো আত্মীয়স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশীরা পরের দিনই বিয়ে করিয়ে দেয়। সবুরের এক কথাÑ এখন সে বিয়ে নিয়ে ভাবছে না। তাছাড়া খেতের ফসল তোলার সময় হয়ে এসেছে। এখন যে তার এক বিন্দুও সময় নেই। কথায় আছেÑ যার কাজ নেই তার কাজের অভাব নেই। সবুরকে যে এখন সব ভাইয়ের কাজ করে দিতে হয়।
অবশেষে ফসল তোলা শুরু হলো। প্রতি বছর এই সময়ে সবার মুখে যে হাসি থাকত এবার আর তা নেই। যেই ফসল হয়েছে তা দিয়ে খরচের অর্ধেকও উঠবে না। সবার কপালে চিন্তার ভাঁজ। সবুর ওয়াদুদের সাথে রসুন-পিঁয়াজ তুলছে। সাথে দিনমজুরও আছে। বাচ্চা ছেলেমেয়ে ও মহিলারা পিঁয়াজ-রসুনের শিকড় ও আগা কাটছে। দিনমজুরেরা প্রতিদিন বিশ টাকা করে পাচ্ছে। আর যারা পিঁয়াজ রসুনের শিকড় ও আগা কাটছে তারা প্রতি মণ পেঁয়াজে পাচ্ছে পাঁচ টাকা আর রসুনে পাচ্ছে দশ টাকা। চাঁদনী গামছায় বেঁধে ভাত নিয়ে এসেছে। কিন্তু খেতের আইলে দাঁড়িয়ে তার দেবর সবুরের দিকে চোখ পড়লে সে থমকে দাঁড়ায়। চেহারার দিকে তাকানো যায় না। মুখের ওপর যেন উত্তর আকাশের মেঘ জমে আছে।
দেবরের প্রতি খুব মায়া হলো তার। তাই খেতের মধ্যে কাটা রসুনের পাতার ওপর ভাতের পাত্র রেখে সে সবুরকে ধরে এনে বসাল। তারপর স্বামী ওয়াদুদকেও ডাকল। সবুর ভাত খেলেও তার চোখদুটি একেক দিকে ঘুরতে থাকে। বিষয়টা লক্ষ করছে চাঁদনী। সবুরের পাতে ভাত শেষ হলেও সেদিকে তার কোনো খেয়াল নেই। চাঁদনী আবার ভাত আর সালুন উঠিয়ে দিয়ে বলল, ‘ভাইজান, একটা কতা কই?’ বড় ভাই সামনে, তাই সবুর চোখের ইশারায় চাঁদনীকে থামতে বলল। চাঁদনী আর কোনো কথা বলল না। শুধু তাকিয়ে তাকিয়ে স্বামী ও দেবরের খাওয়া দেখতে লাগল।
ফসল তোলা শেষ হলো। যার যতটুকু ফসলই হোক না কেন, আপাতত সবাই একটু বিশ্রাম পেল। তবে চাঁদনীর কি আর সেই সুযোগ আছে? রান্নাবান্নাসহ বাড়ির কাজ তো সব সময়ই থাকে। কিন্তু যেই ফসল বাড়িতে আনা হয়েছে এগুলো নিয়ে তার ব্যস্ততার শেষ নেই। কাঁচা পিঁয়াজ বিক্রি করে দেওয়া হয় সাথে সাথেই। রসুন কেউ বিক্রি করে, আবার কেউ বাড়িতে এনে শুকিয়ে সংরক্ষণ করে। কিন্তু ধনে মসুর নিয়ে অনেক ঝামেলা। এগুলো পিটিয়ে গাছ থেকে আলাদা করতে হয়। এরপর শুকিয়ে ঘরে তুলতে হয়। একদিন চাঁদনী ধনে পিটাতে পিটাতে ক্লান্ত হয়ে পানি খেতে কলের কাছে যায়। এ সময় সে দেখল সবুর কবরের পাশে দাঁড়িয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে। মাঝে মাঝে চোখ মোছে আবার আনমনা হয়ে আগের মতোই তাকিয়ে থাকে। চাঁদনী কিছু না বলে কলে চাপ দিয়ে পানি খেয়ে না দেখার ভান করেই চলে আসে। কিন্তু সবুর টের পেয়েছে কি না কে জানে? সে মনের দুঃখে কবরের পাশেই দাঁড়িয়ে রইল।
রাত বারোটা। পৌষ মাস প্রায় শেষের দিকে। চারদিক কুয়াশায় মোড়ানো। নীরব নিস্তব্ধ পৃথিবী। সারাদিনের ক্লান্তিতে চাঁদনী একেবারে মরার ঘুম ঘুমিয়েছে। এই শীতের মাঝেও সে কাঁথা ছাড়াই শুয়ে আছে। ওয়াদুদ বিষয়টা লক্ষ করে চাঁদনীকে নিজের উমে জড়িয়ে নিয়ে কাঁথাটি ওপরে দিয়ে দিলো। চাঁদনী ‘উহ’ করে একটু আওয়াজ করে ওয়াদুদকে জড়িয়ে ধরে নীরব হয়ে গেল। শীতে কাঁপছে চাঁদনী। কিছুক্ষণ জড়িয়ে থাকার পর তার কাঁপা থামল। ওয়াদুদ অবশ্য তাকে বাহুবন্দি করে মাথার চুলে বিলি কেটে দিচ্ছে। ফলে ঘুম ভেঙে যায় তার। স্বামীর শরীরের উম আর আদরে তার সারাদিনের ক্লান্তি মুছে যাচ্ছে। কিন্তু সে যে জেগেছে তার কিছুই বুঝতে দিলো না।
ওয়াদুদ আদর দিয়েই যাচ্ছে। তারও মন চায় ওয়াদুদকে আদর দিয়ে এর প্রতিদান দিতে। এ সময় তার সেদিনের বলা কথা মনে পড়ে গেল। ‘এই উমে যদি অন্য কেউ বাসা বান্ধে।’ কথাটা মনে করে সে সবুরের কথা ভাবতে থাকে। কীভাবে মানুষের সাথে মানুষের সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায়। আবারও নতুন কারও সাথে জীবন জোড়া লাগে। যদিও সবুর এখনো একাই আছে। তবে লাগতে আর কতক্ষণ!
এর মধ্যে ওয়াদুদ চাঁদনীকে শক্ত হাতে জড়িয়ে ধরে আদর করতে করতে বলল, ‘হুনছো?’ চাঁদনী আর নিজেকে ধরে রাখতে পারল না। সে-ও ওয়াদুদকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বলল, ‘না হুইনা আর উপায় কী?’
‘তয় আমাগো তো আরেকটা বাচ্চা দরকার, তাই না?’ এই বলে ওয়াদুদ একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ল। এর কারণ অবশ্য বুঝতে বাকি রইল না চাঁদনীর। তারপরেও না শোনার ভান করে বলল, ‘হেইডা বুজলাম, তয় বাইত্তে যে একজন মানুষ একা একা আকাশের দিকে তাকাইয়া থাকে হেইদিকে কি খেয়াল আছে তোমার?’
‘হেইদিন তো খেতে বইয়া কইতে যাইয়াও কইলা না, তয় আমি তো আর কইতে পারি না। তুমিই কাল কইয়ো।’ এই বলে ওয়াদুদ চাঁদনীর অশান্ত বুকে মাথা রেখে ঘন ঘন শ্বাস নিতে নিতে আবার বলল, ‘এইহানে আমি আবার আমার সন্তানের নড়াচড়ার শব্দ হুনতে চাই।’
চাঁদনীর চোখ দুটি টলটল করছে। স্বামীর দেওয়া এত সুন্দর অনুভূতির মাঝেও সে যে কেন কাঁদছে তা নিজেই বুঝতে পারছে না। ওয়াদুদ তাকে মাতাল করার চেষ্টা করছে। কিন্তু চাঁদনী যেন বিষিয়ে একেবারে নিথর হয়ে গেল। হঠাৎ ওয়াদুদের হাতে কয়েক ফোঁটা জল পড়তেই সে হকচকিয়ে ওঠে। সাথে সাথে চাঁদনীর চোখে হাত দিয়ে দেখে চোখে জলের ধারা নেমেছে। ‘তুমি কানতাছ চাঁদনী? কী হইছে তোমার? আমারে খুইলা কও।’ চাঁদনীর কোনো সাড়াশব্দ নেই। কিন্তু হঠাৎ করে আবার সে কয়লার মতো জ্বলে উঠল। বড় বড় শ্বাস নিতে নিতে ডুকরে কাঁদতে লাগল। অনেক চেষ্টার পরে অবশেষে চাঁদনী শান্ত হলো। কিন্তু কী জন্য কাঁদল তা বলল না সে। কারণ জানার জন্য ওয়াদুদ বেশি জোরাজুরি করলে চাঁদনী নিজেই আবার ওয়াদুদকে জড়িয়ে ধরে স্বাগত জানাল। একসময় ক্লান্ত দুজন ঘুমিয়ে পড়ে। আর এদিকে মাকড়সার জালে শিশির জমে ফোঁটা ফোঁটা জল পড়ে টপটপ শব্দ হতে থাকে। কিন্তু সেই শব্দ আর তাদের কানে গেল না।
‘ভাইজান, আপনার সাথে আমার একটা কতা আছে?’ কথাটা শুনে সবুর কেঁপে ওঠে। চোখের সামনে হাজির হয় তার দুই ছেলে ও মেয়ের সেই নিষ্পাপ মুখগুলো। হাজির হয় হতভাগা, কপালপোড়া আকলিমাও। আকলিমা যেন তাকে হাত উঁচিয়ে বলছে, ‘সবুর, তুমি আরেকটা নিকা করো, তোমার এই একাকিত্ব আমার যে আর সয় না।’ সবুরের শুকিয়ে যাওয়া চোখের তটিনীতে চুঁইয়ে চুঁইয়ে জলের রেখা ফোটে উঠছে। তারপরেও ছেঁড়াফাটা গামছা দিয়ে চোখ মুছে বলল, ‘কন ভাবি।’
‘কী কমু তা আপনি আগেই বুঝতে পারছেন। তারপরেও কই ভাইজানÑ আপনি আরেকটা নিকা করেন। একলা একলা আর কয়দিন এইভাবে থাকবেন? আপনের দিকে তাকাইলে আমি আর স্থির থাকতে পারি না।’ কথাগুলো নতুন না। একই কথা ওইদিন কাজলীও বলে গেছে। কাজলীর কথা মনে করে সবুরের বুকের মাঝে হাহাকার করে উঠল। ‘আহা কাজলী! তোমার বুকের ভেতর জইমা থাকা পাহাড়সমান কষ্টই হয়তো আমার চোকে আইজ ঝরনা হইয়া ঝরতাছে। কাজলী তুমি কি সত্যি সত্যিই আমারে অভিশাপ দিছিলা? একদিন না তুমি কইছিলাÑ তোমার কষ্ট মানে আমার কষ্ট। তয় কষ্ট যদি তোমারও হয় তাইলে ক্যামনে অভিশাপ দিলা? না না, আমার কাজলী এই অভিশাপ দিতে পারে না।’ মনে মনে কথাগুলো বলে হু হু করে কেঁদে উঠল সবুর।
‘ভাইজান, মনে মনে কী কইতাছেন? দ্যাহেন কাইন্দেন না। আল্লায় যা করে ভালোর নিগ্গাই করে।’
কথাটার কোনো জবাব দিলো না সবুর; শুধু মনে মনে বলল, ‘হ, আইজ আমি অনেক ভালো আছি, অনেক ভালো!’ ‘ভাইজান রাগ করলেন? এহন তো কোনো কাজ কাম নাই। এতদিন কইছেন জিরাত উডতাছে, অনেক কাম।’
‘আমার চিন্তাগুলা তো আর কেউ কইরা দেয় না বইন, আমি যে আইজ ক্লান্ত। আমি আর পারতাছি না ভাবি। হতভাগা বউডা আর আমার পোলাপানগুলা…!’ আর কোনো কথা বলতে পারল না সবুর। দাঁতে দাঁত লেগে মাটিতে লুটিয়ে পড়ল সে।
জ্ঞান ফিরলে সবুর দেখে তার সামনে কাজলী বসে আছে। সেদিন সে তাকে যেই চেহারায় দেখেছিল আজ আর তা নেই। ‘আহা স্বামীহারা মাইয়াডা! তাইলে কি ওরও পুরান কতা মনে পইড়া গ্যাছে সব? আর তাতে জ্বইলা পুইড়া এই অবস্তা হইছে?’ সবুর চারদিকে তাকায়। পেছনে তার ভাবি চাঁদনীও বসে আছে। হয়তো সে-ই কাজলীকে ডেকে এনেছে। চাঁদনী এটা জানে, কাজলীর কথা ওয়াদুদ ফেলতে পারবে না।
অনেক আগের কথাÑ সবুরের প্রেমে টালমাটাল কাজলী। কাজলীর স্কুল যাওয়া বন্ধ করে দিলেন তার বাবা। গ্রামে তিনি কারও কাছে মুখ দেখাতে পারছেন না। আশেপাশের এমন কেউ নেই যে এই প্রেমের কথা জানে না। সবুর প্রায়ই চিঠি পাঠায় চাঁদনীকে। চাঁদনীও ফিরতি চিঠিতে জবাব দেয়, নিজের অনুভূতি প্রকাশ করে। পিয়ন হিসেবে কাজ করে চাঁদনীর এক চাচাতো বোন সায়মা। তবে এর জন্য সে বিনিময় নিত। সবুর তাকে এটা সেটা কিনে দিতো।
একদিন সবুর একটি চিঠি লিখে চাঁদনীকে পাঠায়। চাঁদনী সেদিন বাড়িতে ছিল না। তাই সায়মা চিঠিটি কাজলীর বইয়ের মধ্যে রেখে আসে। কাজলীর বাবা টেবিলের বইগুলো এলোমেলো দেখে গুছিয়ে রাখতে গেলেন। এ সময় একটি বই তার হাত থেকে মাটিতে পড়ে যায়। তাতে বইয়ের পৃষ্ঠা খুলে একটি কাগজ কিছুটা বেরিয়ে আসে। মনে হচ্ছে যেন একটি অজগর শিকারকে গিলতে গিয়ে আর পারেনি, তাই মাথাটা বাইরে বেরিয়ে আছে। কাজলীর বাবা অজগরটির মুখ থেকে শিকারটিকে টেনে বের করলেন।
প্রিয় কাজলী,
নিশ্চয়ই ভালো আছ। আর ভালো না থাকার কোনো কারণ আছে বলে আমি মনে করি না। জীবনটা খুব সুন্দর তাই না কাজলী? আসলে তোমার সাথে সম্পর্কে না জড়ালে বিষয়টা বুঝতামই না। তাই আমিও বলছিÑ অনেক ভালো আছি। একজন কাজলী যার পাশে আছে তার কি আর ভালো না থাকাটা মানায়? তাছাড়া তোমার ওই টানা টানা চোখ আর সফেদ মুখটি দেখলে আমার প্রাণ জুড়িয়ে যায়। তাই কয়দিন যাবৎ দেখা না হওয়ায় মনটা অস্থির হয়ে আছে। সেদিন তোমার স্পর্শ নিয়ে বাড়ি ফিরে আমার মনে হয়েছে এমন স্পর্শ যদি প্রতি মুহূর্তে পেতাম তাহলে জীবনটা কতই-না মধুর হতো। তোমারও কি এমন অনুভূতি হয়? রাত বাড়ছে। হারিকেনের চিমনিতে কালি পড়ে আছে। কিন্তু ঘুম আসছে না। বারবার শুধু তোমার কথাই মনে পড়ছে। দেখা হবে শীঘ্রই। ভালো থেকো। চিঠির উত্তরের অপেক্ষায় রইলাম।
ইতি তোমার অক্সিজেন সবুর